গ্রেপ্তাররা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান (৪২) এবং মোহাম্মদ মোস্তফা (৪৫)। আরমানিটোলার ওই ভবনে দুজনেরই গুদাম ছিল এবং সেখানে রাসায়নিকও মজুদ ছিল।
গত শুক্রবার ভোরে আরমানিটোলার হাজী মুসা ম্যানসন নামের ছয়তলা ওই ভবনের নিচতলায় রাসায়নিকের গুদাম থেকে আগুন লাগে। এতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বংশাল থানায় একটি মামলা করেছেন, যাতে ভবন মালিক, গুদাম মালিকসহ ৭৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ওই মামলার আসামি মোস্তাফিজকে সোমবার ভোরে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থেকে এবং মোস্তফাকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব জানিয়েছে।
মোস্তাফিজ মেসার্স মঈন এন্ড ব্রাদার্সের এবং মোস্তফা মেসার্স আরএস এন্টারপ্রাইজের মালিক। মুসা ম্যানশনের নিচতলায় দুজনের গুদাম ছিল।
কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে জানা যায়, অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় তারা গোডাউনে বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল ও দাহ্য পদার্থ মজুদ করেছিলেন। কেমিকেল মজুদের ব্যাপারে তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতি ছিল না।”
তারা প্রায় পাঁচ থেকে সাত বছর ধরে এ ধরণের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানান তিনি।
চুড়িহাট্টা এবং তারও আগে নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের পর পুরান ঢাকার রাসায়নিকের গুদাম তুলে দিতে পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেলেও তা যে ফলপ্রসূ হয়নি, তা আরমানিটোলার অগ্নিকাণ্ড প্রকাশ্য করেছে।