করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ দ্বিতীয় দিনে ঢাকার রাস্তাঘাট প্রথম দিনের মতো ফাঁকা নেই। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও রাস্তায় রিকশা চলাচল বেড়েছে। কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশাও চলতে দেখা গেছে; বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়িও।
Published : 15 Apr 2021, 12:58 PM
বৃহস্পতিবার রামপুরা, মালিবাগ, বিজয়নগর, কাকরাইল ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। তবে যান ও পথচারী চলাচল নিয়ন্ত্রণে তৎপর রয়েছেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও। কয়েকটি স্থানে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে রিকশা উল্টে রাখা ও সিএনজি আটক করার দৃশ্য দেখা গেছে।
প্রথম দিনে বিভিন্ন সড়কে রাস্তায় বেষ্টনী দিয়ে যান চলাচল বন্ধের যে দৃশ্য দেখা গিয়েছিল দ্বিতীয় দিনে তা নেই। পরিবর্তে তল্লাশি চৌকিতে প্রত্যেকটি যানবাহন থামিয়ে মুভমেন্ট পাস আছে কিনা জানতে চাইছেন পুলিশ সদস্যরা। যারা পাস দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছেন তাদেরকে জরিমানা করে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আজকে অনেক রিকশা নেমেছে। কি করবে বলুন? আমিও রামপুরার চৌধুরীপাড়া থেকে রিকশায় এসেছি। আসার পথে রিকশা চালককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কেন রিকশা বের করেছ, সে বলল পাঁচজনের সংসার চালাতে তাকে প্রতিদিন রিকশা চালাতে হয়। নইলে তারা না খেয়ে থাকবে।”
সকাল সাড়ে ৯টায় কাকরাইল মোড় ও নাইটিঙ্গেল মোড়ে দেখা গেল কয়েকটি রিকশা উল্টে রাখা হয়েছে।
কাকরাইলের মোড়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানালেন, ‘লকডাউনে’ কোনো ধরনের যানবাহন রাস্তায় বের করা নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছে বলেই রিকশাগুলো আটক করা হয়েছে। কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দেওয়া হবে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে এদিনও যথারীতি বন্ধ আছে সব বিপণী বিতান।
কর্ণফুলী সুপার মার্কেটের নিরাপত্তাকর্মী হাফিজ বলেন, “২১ এপ্রিল পর্যন্ত এই মার্কেট বন্ধ থাকবে। দোকানের মালিক-স্টাফরাও প্রবেশ করতে পারবেন না। খুব কড়াকড়ি নির্দেশনা আছে দোকান মালিক কর্তৃপক্ষের।”
পুরানা পল্টনে লেনের বাসিন্দা আবদুস সালাম তালুকদার বলেন, “লকডাউনে কড়াকড়ি না করলে কোনোভাবে আপনি যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। যেভাবে করোনাভাইরাসে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে তা মহাবিপদের পূর্বাভাস।
করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বুধবার সকাল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ চালু করে সরকার। এই বিধি নিষেধকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ বলা হচ্ছে। টানা আটদিনের এই নিষেধাজ্ঞা চলবে ২১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত।