ফেইসবুকে এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট খুলে সেক্স টয় বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়ার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
Published : 28 Feb 2021, 04:57 PM
সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন টিম শনিবার রাজধানীর পল্লবী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে বলে অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মো.কামরুল আহসান জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রেজাউল আমিন হৃদয় (২৭), মীর হিসামউদ্দিন বায়েজিদ (৩৮), মো. সিয়াম আহমেদ (২১), মো. ইউনুস আলী (৩০), আরজু ইসলাম জিম (২২) এবং মেহেদী হাসান ভূইয়া সানি (২৮)।
তাদের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকার সেক্স টয়, ৫টি মোবাইল ফোন, ১টি ল্যাপটপ ও ৯টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে বলে রোববার সিআইডির এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সিআইডির সাইবার ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের কর্মকর্তা কামরুল আহসান বলেন, ঢাকার কলাবাগানে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা হওয়ার পর ময়নাতদন্তে বলা হয়, ‘বিকৃত যৌনাচারের’ ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছিল।
“বিষয়টি সিআইডির সাইবার মনিটরিং এবং সাইবার ইনভেস্টিগেশন টিমের নজরে এলে তারা এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। জানা যায়, কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজে নিষিদ্ধ যৌন উদ্দীপক বিভিন্ন পণ্যের ছবি এবং ভিডিওসহ বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।
“সাইবার মনিটরিং এবং সাইবার ইনভেস্টিগেশন টিম এ ধরনের কয়েকটি ওয়েবসাইট ও ফেইসবুক পেইজ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব পণ্য বিক্রির আর্থিক লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।”
কামরুল আহসান বলেন, ওই চক্রটি বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির আড়ালে এসব ‘নিষিদ্ধ পণ্য’ বাংলাদেশে আনে। পরে ফেইসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে।
“ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এসব পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলছে। যেমন লাইকি, টিকটক ব্যবহার করে ক্লোজড গ্রুপ তৈরি করে, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ডিজে পার্টির আড়ালে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলছিল।”
গ্রেপ্তার ৬ জনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
রোববার ছয়জনকে সিআইডি ঢাকার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন হেফাজতে রাখার আবেদন করেন।
সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম ছয় আসামির প্রত্যেককে দুই দিন করে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।