২০১৯ সালে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি জরিমানা আদায় করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Published : 07 Feb 2021, 09:23 PM
রোববার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে ২০১৯ সালের সংস্থার প্রতিবেদন জমা দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দুদকের একটি প্রতিনিধি দল।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে ওই প্রতিবেদন জমা দেন। তার সঙ্গে ছিলেন দুদক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান এবং এ এফ এম আমিনুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাক্ষাতে দুদক চেয়ারম্যান প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং কমিশনের সার্বিক কাযক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান।
“তিনি (দুদক চেয়ারম্যান জানান, ২০১৯ সালে ৩৪৯৭ কোটি টাকার অধিক জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়েছে এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৪৩৬ কোটি টাকার। এছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সম্পত্তি ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।”
বিভিন্ন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে জরিমানার রায়ের এই অর্থ দুদক আদায় করেছে।
দুদক চেয়ারম্যান রাষ্ট্রপতিকে জানান, ২০১৯ সালে ২১ হাজারের বেশি অভিযোগ তারা পেয়েছেন। তার ৮ শতাংশ অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করা হয় এবং ১৭ শতাংশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়।
সাক্ষাৎকালে দুদক চেয়ারম্যান সরকারি কর্মকর্তাদের সততা, জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নবম গ্রেড থেকে উপরের কর্মকর্তাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতির সুপারিশ করেন। এছাড়া তিনি সিভিল সার্ভিস রিফর্মস কমিশন প্রতিষ্ঠারও সুপারিশ করেন।
দুর্নীতি রোধে কমিশন যে সমস্ত সুপারিশ পেশ করেন সেগুলো বাস্তবায়ন ও মনিটরিং এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন দুদক চেয়ারম্যান।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, “দুর্নীতি উন্নয়নের বড় অন্তরায়। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির পাশাপাশি অপ্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি রোধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।”
সমাজ থেকে দুর্নীতি রোধ করতে সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে একটি দুর্নীতি মুক্ত পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে সেজন্য দেশব্যাপী দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি আশা করেন, ভবিষ্যতে কমিশন দুর্নীতি রোধে আরো সক্রিয় হবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।