করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষায় প্রতারণার মামলায় ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী হাজেরা বেগম সাক্ষ্য দিয়েছেন।
Published : 01 Dec 2020, 07:30 PM
মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক ১৫ ডিসেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেন বলে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান জানান।
সিরাজুল ও হাজেরা সাক্ষ্যে বলেন, গত ১২ জুন তারা সাবরিনা ও তার স্বামীর প্রতিষ্ঠান জেকেজিতে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। পরদিন তাদের ফল পজিটিভ আসে। পরে কুমির্টোলা জেনারেল হাসপাতালে দুইবার পরীক্ষা করালে সেখানে ফল আসে নেগেটিভ।
১৮ জুলাই তাদের গাড়িচালক, গৃহকর্মী, বাড়ির কেয়ারটেকার- সবার নমুনাও জেকেজিতে দেন। তাতেও ফল আসে পজিটিভ। কিন্তু কুমির্টোলা জেনারেল হাসপাতালে এদের নমুনা পরীক্ষায়ও ফল নিগেটিভ আসে।
জবানবন্দী শেষে তাদের জেরা করেন আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ। এ মামলার ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ডা. সাবরিনার স্বামী জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, তার সহযোগী সাঈদ চৌধুরী, জালিয়াত চক্রের প্রধান হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। সাক্ষ্য গ্রহণকালে ওই আটজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই বিচারক। তার আগে ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় জেকেজি হেলথকেয়ার। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়।