বৃহস্পতিবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
বংশীধর মিশ্র বলেন, একজন চিকিৎসক হিসেবে তিনি গ্লোবের তৈরি করা 'ব্যানকোভিড' নামের ওই ভ্যাকসিন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন।
“আপতত আমরা এই ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী। তারা সফল হলে জি টু জি পদ্ধতিতেও আমরা কিনতে পারব। বাংলাদেশ সরকার রাজি থাকলে নেপাল এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও আগ্রহী।”
“নেপালের আনমোল গ্রুপের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি দেশ থেকেও বিশ মিলিয়ন ডোজের অর্ডার এসেছে। বাংলাদেশকে সন্তুষ্ট করেই আমরা বাইরে সরবরাহ করব।”
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির দৌড়ে থাকা একমাত্র বাংলাদেশি কোম্পানি, যাদের ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
সারা বিশ্বে যেসব টিকা তৈরির কাজ হচ্ছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে আছে এমন ৪২টি টিকার একটি তালিকা এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগের অবস্থায় (প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) থাকা ১৫৬টি টিকার আরেকটি তালিকা রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। ওই তালিকায় বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের তিনটি টিকার নাম রয়েছে।
গত ৩ জুলাই তেজগাঁওয়ে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গ্লোব বায়োটেকের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির চেষ্টার ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরে গত ৫ অক্টোবর আরেক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে তাদের ওই সম্ভাব্য টিকা ‘কার্যকর ও সম্পূর্ণ নিরাপদ’ প্রমাণিত হয়েছে। এখন তারা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআসি) আবেদন করবে।