মালয়েশিয়ায় এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে জিম্মি করে নির্যাতনের ভিডিও দেশে পাঠিয়ে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে সিআইডি।
Published : 05 Oct 2020, 09:18 PM
গেপ্তাররা হলেন- রাসেল খন্দকার (২৮), শাহনাজ বেগম (৩৫), সুমন ভূইয়া (২৫), বেলাল বিন কারী (৫৭), আরিফ হোসেন (৩০) এবং জাবেদ হোসেন (৩০)। তাদের সবার বাড়ি চাঁদপুরে।
গত ৩ অক্টোবর ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয় জানিয়ে সিআইডির এএসপি জিসানুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তারা মালয়েশিয়ায় অপহৃত ব্যক্তির মুক্তিপণের টাকা বাংলাদেশে বসে বিকাশের মাধ্যমে নিয়েছিল।”
যাকে জিম্মি করে টাকা আদায় করা হয়েছে, সেই জাহাঙ্গীর মল্লিকের (৩০) বাড়ি শরীয়তপুরে। প্রায় আট বছর আগে মালয়েশিয়ায় গিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ নেন তিনি।
তার বড় ভাই আলমগীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি কামরুল ইসলাম ও তার শ্যালক রহিম সরদার গত জুন মাসে জাহাঙ্গীরকে অপহরণ করে দেশে পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
“আমার ভাইয়ের মোবাইল ফোন থেকে ফোন করে ওই টাকা যখন প্রথম চাইল, আমরা তখন বিষয়টি ঠাট্টা মনে করেছিলাম। কিন্তু ভাইকে বেঁধে নির্যাতন করে সেই ভিডিও তারা যখন আমাদের পাঠাল, আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লাম।”
আলমগীর জানান, ওই ভিডিও পাওয়ার পর তারা অপহরণকারীদের দেওয়া ১৪টি বিকাশ নম্বরে ৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা পাঠালে তারা জাহাঙ্গীরকে ছেড়ে দেয়।
“আমার ভাইয়ের কাছে বেতনের টাকাসহ (রিংগিত) কয়েকজন আত্মীয়র আরো কিছু টাকা ছিল, তার সবটাই রেখে দেয় কামরুল।”
ভাই মালয়েশিয়ায় মুক্ত হওয়ার পর শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় একটি মামলা করেন আলমগীর। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। পরে টাকা পাঠানোর সেই বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে সিআইডি ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে শাহনাজ বেগম (৩৫) মালয়েশিয়ায় থাকা অপহরণকারী কামরুলের বোন। অন্যরাও কামরুলের আত্মীয় এবং একজন বিকাশের এজেন্ট। তাদের সবাইকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এএসপি জিসানুল হক।
আলমগীর বলেন, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের বিষয়টি মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর। আগের বাসা বদলে কর্মস্থলের কাছাকাছি থাকতে শুরু করেছেন।