আবরার ফাহাদ হত্যামামলা পরিচালনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) তাদের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর সরকারের কাছে বন্দুকধারী দেহরক্ষী চেয়ে আবেদন করেছেন এহসানুল হক সমাজী।
Published : 28 Aug 2020, 01:48 AM
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর সমাজীকে গত ২৪ অগাস্ট বুয়েট কর্তৃপক্ষ আলোচিত মামলাটি পরিচালনায় তাদের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয়।
বৃহস্পতিবার তিনি নিজের নিরাপত্তা এবং নির্বিঘ্নভাবে দায়িত্ব পালনের স্বার্থে ‘গ্যানম্যান’ চেয়ে বৃহস্পতিবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করেছেন।
অ্যাডভোকেট সমাজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় আমার নিজ নিরাপত্তা ও দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে গানম্যান চেয়েছি।”
বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর নির্যাতনে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী আবরার মারা যাওয়ার পর গত বছর ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন তার বাবা।
ওই বছরের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আসামিদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে ও তিনজন পলাতক রয়েছেন।
গত ২৪ অগাস্ট বুয়েট রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অ্যাডভোকেট সমাজীকে বলা হয়, “ঢাকার দ্রুতবিচার টাইব্যুনাল-১ এ বিচারাধীন আবরার ফাহাদ রাব্বি হত্যা মামলায় বুয়েট তথা সরকারের পক্ষে পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। বিধি অনুযায়ী সম্মানী-ভাতাদি বুয়েট প্রশাসন বহন করবে।”
এর আগে গত ২ জুলাই সরকারও অ্যাডভোকেট সমাজীকে মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিযুক্ত করে।
আইন মন্ত্রণালয় অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজলকে প্রধান করে ৩ সদস্যের প্রসিকিউটর প্যানেল নিয়োগ দেয়। প্যানেলে সমাজী ছাড়াও রয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকার ঘোষিত ৩ সদস্যের প্যানেলের মধ্যে আমার নাম রয়েছে। সেখানে আমাকে বিধি অনুযায়ী সম্মানী দেওয়ার কথা বলা আছে। আবার বুয়েট কর্তৃপক্ষও সম্মানী দেওয়ার কথা বলেছে।
“তাই আমি সরকার থেকে কোনো সম্মানী নিতে চাই না। এক মামলায় দুই কতৃর্পক্ষ থেকে সম্মানী ভাতা নেওয়া নৈতিকতা বিরোধী। তাই শুধু বুয়েট কর্তৃপক্ষ থেকে সম্মানী নেব। এ বিষয়েই আমি সরকারের অনাপত্তি চেয়ে আবেদন করেছি।”
অ্যাডভোকেট সমাজী এর আগে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) ছিলেন। তিনি বাংলাদেশে প্রচলিত ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োজনীয় সংশোধনীর উদ্দেশ্যে ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) পরিচালিত জাতীয় পরামর্শক সংস্থার আইন পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন।