হাতির মৃত্যু: উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চেয়ে রিট আবেদন

চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন ও তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2020, 09:47 AM
Updated : 24 August 2020, 09:47 AM

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক সোমবার ‘জনস্বার্থে’ হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদনটি করেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষককে বিবাদী করা হয়েছে ওই রিট আবেদনে।

আইনজীবী মনোজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চা বাগান রক্ষার জন্য এক ধরনের বৈদ্যুতিক বেড়া দেওয়া হয়। এসব বেড়ার বিদ্যুতের তার জাড়িয়ে, গুলিতে এবং নানা অসুখ-বিসুখে গত ১৯ বছরে ১০৬টি হাতি মারা গেছে বলে রোববার ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে এসেছে।

“এর মধ্যে ২২টি হাতি মারা গেছে বার্ধক্যজনিত জটিলতায়। দুঃখজনক বিষয় হল, এতগুলো হাতির মৃত্যুর পরও এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত হয়নি। কেবল দুটি হাতির মৃত্যু নিয়ে মামলা হয়েছে।”

২২টি হাতি যেহেতু বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছে, তাই বাকি ৮৪টি হাতির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান ও তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।

মনোজ বলেন, “বিষয়টা খুবই মর্মান্তিক। এভাবে যদি প্রাণবৈচিত্র ধ্বংস করা হলে দেশটাই তো ধ্বংস হয়ে যাবে। ৮৪টি হাতির মৃত্যুতে সংশ্লিষ্টদের যে অবহেলা রয়েছে, সে অবহেলা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেছি।”

মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হতে পারে বলে রিটকারী আইনজীবী জানান।  

‘এ্যালিফেন্ট পোচিং, কিলিংস: সুইপট আনডার দ্য রাগ’ শিরোনামে রোববার যে প্রতিবেদন ডেইলি স্টার প্রকাশ করে, সেখানে বন বিভাগের তথ্য উদ্বৃত করে বলা হয়, চট্টগ্রাম ফরেস্ট সার্কেলে (কক্সবাজার, বান্দরবানের অংশ, চট্টগ্রাম শহর এবং রাঙ্গামাটি) গত ১৯ বছরে ১০৬টি হাতি মারা গেছে।

এর মধ্যে দুর্ঘটনায় ৩২টি, অসুস্থ হয়ে ২৯টি, ২২টি বার্ধক্যজনিত জটিলতায়, বিদ্যুতায়িত হয়ে ১৫টি এবং আটটি গুলিতে মারা গেছে।