স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগের পর রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই দপ্তরকে ঢেলে সাজানোর আলোচনার মধ্যেই অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক আমিনুল হাসানকে সরিয়ে দেওয়া হল।
Published : 23 Jul 2020, 03:46 PM
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বৃহস্পতিবার এক আদেশে আমিনুল হাসানকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞাকে হাসপাতাল শাখার পরিচালকের দায়িত্ব দিয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে মাস্ক ও পিপিই কেলেঙ্কারির পরে চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিয়ে রিজেন্ট হাসপাতাল, জেকেজি হেলথকেয়ারের অনিয়ম-জালিয়াতির বিষয়টি এখন দেশজুড়ে আলোচনায় রয়েছে।
এসব কেলেঙ্কারি নিয়ে সমালোচনার মুখে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ ছেড়েছেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে সরকার একটি টাস্কফোর্স গঠন করছে।
“শক্তিশালী এই টাস্কফোর্সের মাধ্যমে দেশের হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানে কোনো অনিয়ম হয় কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।”
নভেল করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ও চিকিৎসার জন্য রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরের রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে ২১ মার্চ চুক্তি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের তৎকালীন সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা ওই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এসব অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে ১৫ জুলাই গ্রেপ্তার হন রিজেন্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ।
রিজেন্টের জালিয়াতি প্রকাশ্য হওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল, মন্ত্রণালয়ের ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের’ নির্দেশেই তারা ওই হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করে। এরপর বিষয়টি নিয়ে পাল্টাপাল্টি চিঠি চালাচালি চলে মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের মধ্যে।
লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কীভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চুক্তি করল এ প্রশ্নে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আমিনুল হাসান গত ৮ জুলাই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, ‘বাধ্য হয়ে’ তা করেছিলেন তারা।
সেদিন তিনি বলেন, “তারা (রিজেন্ট) সার্ভিসটা দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছিল। তখন আমরা এই ধরনের হাসপাতাল খুঁজছিলাম। সে কারণে বিশেষ বিবেচনায় তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।”
তখন লাইসেন্স নবায়নের শর্ত দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “শর্ত ছিল, তারা অবিলম্বে লাইসেন্স নবায়ন করে নেবে। আমরা তাদের দুবার রিমাইন্ডার দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা নবায়ন করেনি।”