রোববার কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ এসব নথিপত্র চেয়ে ওই দুই প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “চিঠিতে হোটেলে থাকা-খাওয়া বাবদ কত টাকা পরিশোধ করা হয়েছে এবং হোটেল কোন কোন সেবা দেয়া হয়েছে, সে সংক্রান্ত সব নথিপত্র জরুরি ভিত্তিতে দিতে বলা হয়েছে।”
পাঁচশ শয্যার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক-নার্সদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল হোটেল একাত্তরে। গত ২০ এপ্রিল থেকে ওই হোটেলে তারা থাকতে শুরু করেন। কিন্তু হোটেলের সেবা নিয়ে চিকিৎসকরা সন্তুষ্ট ছিলেন না।
মুগদা হাসপাতালে করোনাভাইরাস রোগীদের সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের জন্য হোটেল যাতায়াত ও খাদ্য কমিটির সদস্য ছিলেন নাক, কান ও গলা বিভাগের প্রধান মনিলাল আইচ লিটু।
এক মাসে (২০ মে পর্যন্ত) চিকিৎসক-নার্সদের ওই হোটেলে থাকা-খাওয়ার বিল বাবদ ৩৫ লাখ পরিশোধ করে ওই কমিটি।
এরপর হোটেল একাত্তরে থাকার ব্যবস্থ বাতিল করে চিকিৎসকদের জন্য গুলশানের ওরিয়েন্টাল হোটেল ঠিক করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পাশাপাশি ২৩ মে মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও হোটেল যাতায়াত ও খাদ্য কমিটির সদস্যসহ চারজনকে অন্যত্র বদলি করে অধিদপ্তর।
অধ্যক্ষ শাহ গোলাম নবীকে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয়। হোটেল যাতায়াত ও খাদ্য কমিটির সভাপতি মনিলাল আইচ লিটুকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মুগদা হাসপাতালের কোভিড-১৯ চিকিৎসার ফোকাল পারসন সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবর রহমানকে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে এবং চক্ষু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোত্তালিব হোসেনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।