করোনাভাইরাসের বিস্তারে লাগাম টানতে সহায়তার লক্ষ্যে ঢাকায় আসা চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বাংলাদেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা উপকৃত হচ্ছেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন।
Published : 17 Jun 2020, 10:08 PM
সফররত চীনের ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের সঙ্গে বুধবার সিলেট ও চট্রগ্রামের চিকিৎসকদের ভিডিও কনফারেন্সের উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
মোমেন বলেন, “বাংলাদেশ ও চীন করোনা মোকাবিলায় পারস্পারিক সাহায্য অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশে সফররত চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা উপকৃত হচ্ছেন।”
সর্বপ্রথম করোনাভাইরাসের কবলে পড়লেও এর ভয়াবহতা মোকাবেলায় চীন সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা মোকাবিলায় চীনের সফলতা সারা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে কাজ করবে। জরুরি হাসপাতাল নির্মাণ, কঠোরভাবে কোয়ারেন্টিন মেনে চলাসহ দ্রুত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে চীন।”
বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য চীন সরকার এবং সেদেশের বেসরকারি সংস্থা আলিবাবা ও জ্যাকমা ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ দেন তিনি।
এই বৈশ্বিক মহামারী মোকাবেলায় সব দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক সমস্যা এবং তা মোকাবিলায় সব দেশের পারস্পারিক সহযোগিতা প্রয়োজন।”
করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে গত ৮ জুন বাংলাদেশ সফরে আসে চীনের ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল।
দুই সপ্তাহের সফরে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন তারা।
ভিডিও কনফারেন্সে অন্যদের মধ্যে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সংযুক্ত ছিলেন।