কোভিড-১৯: একদিনেই ১১২ নতুন রোগী, আক্রান্ত বেড়ে ৩৩০

বাংলাদেশে এক দিনেই নতুন রোগীর সংখা দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ায় নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিনশ ছাড়িয়ে গেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2020, 08:53 AM
Updated : 9 April 2020, 11:10 AM

বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১২ জনের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা একলাফে বেড়ে হয়েছে ৩৩০ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে আরও একজন গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন, তাতে দেশে কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১ জন।

গত এক দিনে নতুন করে কারও সুস্থ হওয়ার খবর আসেনি। এখন পর্যন্ত মোট ৩৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যেহেতু আমাদের টেস্টের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, আগে একটা ল্যাবরেটরিতে হত এখন ১৭টা জায়গায় হয়, টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে বিধায় আমরা বুঝতে পারছি আক্রান্তের হার কেমন।”

জাহিদ মালেক দাবি করেন, করোনাভাইরাসের কারণে সব কিছুর চাকা থেমে গেলেও ‘মনোবল ভাঙেনি’।

“আমরা যুদ্ধ করে চলেছি। আমরা গতকালই চায়নার উহানে যারা করোনাভাইরাস মোকাবেলা করেছিল, তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছি। তারা আমাদের বেশকিছু বিষয় জানিয়েছেন। আমরা সেখান থেকে কিছু অ্যাডভাইজ গ্রহণ করেছি। সেভাবেই আমরা কাজ করেছি।”

চীনের চিকিৎসকরা বাংলাদেশে বেশি বেশি পরীক্ষা করতে এবং সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “এটাই হচ্ছে মূলমন্ত্র। ঘরে থাকলে রোগটা অন্যের কাছে সংক্রমিত হবে না। বেশি বেশি পরীক্ষা করলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও আমাদের একই ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন। আমাদের তিনি প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিচ্ছেন।”

আগে এই অনলাইন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ থাকলেও এখন তা বন্ধ করে দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একে বলছে ‘স্বাস্থ্য বুলেটিন’।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা এবং আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাও উপস্থিত ছিলেন ব্রিফিংয়ে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. এনামুর রহমানও বাইরে থেকে ব্রিফিংয়ে যোগ দেন।

নতুন আক্রান্তদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, ১১২ জনের মধ্যে ৭০ জন পুরুষ, ৪২ জন নারী। তাদের মধ্যে ৬২ জনই ঢাকায়, ১৩ জন নারায়ণগঞ্জের, বাকিরা দেশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

এদের মধ্যে ৩ জনের বয়স ১০ বছরের নিচে। ১১ থেকে ২০ বছরের ৯ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ১৫ জন, ৩১ খেকে ৪০ বছরের ২৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২৩ জন। ৬০ বছরের বেশি বয়স- এমন আছেন ১২ জন।

যিনি মারা গেছেন, তার বয়স ৬০ বছরের বেশি ছিল জানিয়ে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, “তিনি ঢাকার। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রতিদিনই আমরা কাউকে না কাউকে হারাচ্ছি।”