জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে শহরের সৌন্দর্ বাড়াতে সড়কের পাশের বাড়ি বা স্থাপনা, ফটক ও দেয়াল সংস্কার ও রঙ করার অনুরোধ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
Published : 04 Mar 2020, 06:26 PM
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি মঙ্গলবার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করা হয়। এছাড়া কয়েকদিন ধরে বাড়ির মালিকদেরও চিঠি দিয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন গণবিজ্ঞপ্তি না দিলেও একই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এই করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা।
তিনি বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। আমাদের আলোচনা চলছে।”
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মুজিববর্ষ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ তথা ঢাকা মহানগরীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য দৃষ্টিনন্দনভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে শহরকে দৃষ্টিনন্দন করতে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ দৃষ্টিনন্দন করে সজ্জিত ও আলোকসজ্জা করা হচ্ছে।
“এরই ধারাবাহিকতায় সড়কসমূহের পাশে অবস্থিত বাড়ি, স্থাপনা, গেইট ও বাউন্ডারি ওয়াল প্রয়োজনীয় সংস্কার ও রঙ করা প্রয়োজন। এতে শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।”
আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে বাড়ি বা স্থাপনার ফটক ও সীমানা দেয়াল সংস্কার ও রং করার কাজ শেষ করার জন্য অনুরোধও করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে আরও বলা হয়, “স্বাধীন বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ তার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা আমাদের সকলেরই নাগরিক দায়িত্ব।”
গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. মোস্তফা কামাল মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন যাদের রং করা আছে, তাদের তো নতুন করে সংস্কারের দরকার নেই। যাদের সংস্কারের দরকার তাদের ১৪ মার্চের মধ্যে করার অনুরোধ করা হয়েছে।”
তবে বিষয়টি আরেকটি বিভাগ দেখে জানিয়ে তিনি ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিজ্ঞাপনটা এখনও আমি ভালো করে পড়িনি।
“এটা তো নাগরিক বোধ থেকে আমরা বলি। আমাদের বিধানও রয়েছে আমরা বলতে পারি সিটিতে বসবাস করেন যারা তাদেরকে। আমরা মনে করি, উনারা নিজ দায়িত্ববোধ থেকে সংস্কারটা করবেন।”
১৪ মার্চের মধ্যে সংস্কারের অনুরোধের বিষয়ে তিনি বলেন, “১৭ মার্চ যেহেতু জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে, সেখানে দুয়েকদিন আগে শেষ হয়ে গেলে দেখতে সুন্দর হবে।
“যাদের রং করা রয়েছে, তারা হয়ত রং করবে না। যাদের বিবর্ণ, জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থায় থাকতে পারে, দৃষ্টিকটূ হতে পারে- তারা যেন দায়িত্ববোধ থেকে করে।”