বুধবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে আসামি খালেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।
বিচারক মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য আগামী ১ এপ্রিল দিন ঠিক করে দিয়েছেন।
কারাবন্দি খালেদের উপস্থিতিতে ইয়াবার এই মামলায় অভিযোগ গঠন হয়।
আদালতে অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর খালেদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি দোষী না নির্দোষ?
খালেদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চাইলেও তা নাকচ করেন বিচারক।
খালেদ মাহমুদ ছিলেন আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
ঢাকার ক্রীড়া ক্লাবগুলোতে চলা অবৈধ ক্যাসিনো বন্ধে র্যাবের অভিযানের শুরুতেই গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন খালেদ ভূঁইয়া।
ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবে ক্যাসিনো তিনিই চালাতেন বলে র্যাব জানায়। গ্রেপ্তারের পর যুবলীগও বহিষ্কার করে তাকে।
গ্রেপ্তারের সময় খালেদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র (এর মধ্যে একটি অবৈধ), গুলি এবং ইয়াবা জব্দ করা হয়। পাশাপাশি ইয়ংমেন্স ক্লাব থেকে বিদেশি মদ ও ক্যাসিনোর সরঞ্জাম জব্দ করে র্যাব।
এরপর খালেদের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলা করা হয়।
ইয়াবা পাওয়ায় মাদক আইনে একটি মামলার পাশাপাশি অস্ত্র ও মুদ্রা পাচার আইনে আরও দুটি মামলা হয় গুলশান থানায়। মতিঝিল থানায় মাদক আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। দুদক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরেকটি মামলা করে খালেদের বিরুদ্ধে।
ইয়াবার মামলাটিতে গত ১৭ নভেম্বর খালেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় র্যাব। সেই মামলায়ই বুধবার অভিযোগ গঠন হল।