বৃহস্পতিবার সকালে এসব কিট বুঝে পেয়েছেন বলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয় পলিমেরেজ চেইন রিঅ্যাকশন বা পিসিআরের মাধ্যমে।
পিসিআর করতেই এসব কিট ব্যবহার করা হবে বলে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান।
“তবে এটার পরীক্ষা পদ্ধতিসহ অন্যান্য বিষয় এখনও বিশ্লেষণ করিনি। এগুলো দিয়ে কতগুলো পরীক্ষা করা যাবে সেটাও এখনও জানি না।”
করোনাভাইরাস নিয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরতে আইইডিসিআরের নিয়মিত এই সংবাদ সম্মেলনে পরিচালক বলেন, বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত ৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে চারজন চীনের নাগরিক।
কভিড-১৯ নামের এই রোগ নিয়ে আতঙ্কিত না হতে আবারও আহ্বান জানান ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, চীনে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে এখনও এই ভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।
“চীনে এখন পর্যন্ত যত মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তার ৮০ ভাগই মৃদু ঝুঁকির। যাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না। অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।”
বাংলাদেশে এখনও উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি নয় জানিয়ে তিনি বলেন, “এ কারণে করোনাভাইরাস নিয়ে অযথা আতঙ্কিত বা কোনো প্যানিকের মধ্যে না পড়ি সে বিষয়টা আমরা আশ্বস্ত করতে চাই।”
তারপরও অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে চীন বা সিঙ্গাপুর ফেরত লোকজনকে হাসপাতালে ভর্তি বা কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে বলে জানান মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, চীন ফেরতদের হাসপাতালে নেওয়া নিয়েও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
“যেহেতু চীন বা সিঙ্গাপুর ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে এবং সাধারণ সর্দিজ্বরের সঙ্গে যেহেতু করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলো মেলে ,এ কারণে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে তাদের পরীক্ষা করি।”
আশকোনা থেকে বাড়ি ফেরা ৩১২ জনের সবাই ভালো আছেন, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন আইইডিসিআর পরিচালক।