শেখ ফজলে নূর তাপসের ছেড়ে দেওয়া ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে লড়তে আওয়ামী লীগের সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও বিএনপির শেখ রবিউল আলমসহ ছয় প্রার্থীর সবাই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
Published : 19 Feb 2020, 05:57 PM
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে বুধবার রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহতাব উদ্দিনের কাছে প্রার্থিতার আবেদন জমা দেন তারা।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আজ। সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। তাদের মধ্যে ছয়জন জমা দিয়েছেন।
“আমরা প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছি। এ আসনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট হবে। ১১৭টি কেন্দ্র নির্ধারণ করেছি। সবগুলোইতেই ইভিএমে ভোট হবে।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা ১০ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন নব নির্বাচিত মেয়র তাপস। ঢাকা দক্ষিণের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়।
এ আসনে ২১ মার্চ ভোটের দিন সামনে রেখে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ছিল বুধবার। ২৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রত্যাহারের সুযোগ শেষে ১ মার্চ প্রতীক বরাদ্দ হবে।
উৎসবমুখর ভোটের আশায় মহিউদ্দিন
বিকেল ৩টার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বলেন, “আমি মানুষের কাছে যাব, মানুষ যদি আমাকে গ্রহণ করে, নির্বাচিত হব। আমরা ভাবতে চাই- একটি উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।
“নির্বাচনের মাধ্যমে এ এলাকার জনগণ তাদের পছন্দমত নেতাকে বেছে নেবেন। আমি চাই, জনগণ ভোট দিতে আসুক।”
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এই গার্মেন্টস মালিক বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অভিজ্ঞতা দিয়ে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ গতিশীল করার চেষ্টা করবেন তিনি।
আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে এ প্রার্থী বলেন, “মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার সময় আমার সঙ্গে পাঁচ জনই ছিলেন। আইনের কোনো ব্যত্যয় করিনি। আইনের ব্যত্যয় করতেও চাই না।”
জনগণ ভোট দিলে আ. লীগের পরাজয় নিশ্চিত: রবিউল
এর আগে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বিএনপি প্রার্থী বলেন, “জনগণ যদি ভোট দিতে পারে, এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যদি সরকার ও কমিশন দিতে পারে, তাহলে আওয়ামী লীগের পরাজয় নিশ্চিত।”
শেখ রবিউল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভুক্ত ধানমণ্ডি থানা বিএনপিরও সভাপতি ।
এ প্রার্থী বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ভেঙে গেছে। এটা থেকেই রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে নির্বাচন। কমিশনের ভেতর সমস্যা রয়েছে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার ও কমিশনকে বাধ্য করার চেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি ভোটের লড়াইয়ে আছেন।
“বেশ কিছু প্রস্তাবনা আছে। যদি তা গ্রহণ করে কমিশন, তাহলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়া সম্ভব।”
ঢাকা-১০ আসনে ভোটার আছেন ৩ লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন। ১১৭টি ভোটকেন্দ্রের ৭৩৪টি ভোটকক্ষে তাদের ভোটগ্রহণ হবে। এ বছর হালনাগাদে যুক্ত হওয়া নতুন ভোটাররাও ঢাকার এ উপ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।
এ আসনসহ গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপনির্বাচনও একই দিনে হবে।