সাঈদপত্নী বৈশাখীকে সময় দিল দুদক

ঢাকার ফকিরাপুল এলাকার সাবেক কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোসহ অন্যান্য অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তার স্ত্রী ফারজানা আহমেদ বৈশাখীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2020, 02:22 PM
Updated : 11 Feb 2020, 02:28 PM

বৈশাখীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার পূর্বনির্ধারিত থাকলেও সময় বাড়াতে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন করে তলব করা হয়েছে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মঙ্গলবার সাঈদ ও তার স্ত্রী বৈশাখীকে তলব করেছিলেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আতাউর রহমান সরকার। কিন্তু গা ঢাকা দিয়ে থাকা সাঈদ দুদকের তলবে সাড়া দেননি।

এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি এই দম্পতিকে রাজধানীর নিউ বেইলি রোডের ৩ নম্বর বাড়ি ‘গোল্ড প্যালেসে’ তাদের ঠিকানায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তলব করে নোটিশ পাঠায় দুদক।

১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন গা ঢাকা দিয়ে থাকা মমিনুল হক সাঈদ। একই ওয়ার্ডে তার স্ত্রী বৈশাখীও কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছেন।

গত সেপ্টেম্বরে ঢাকার বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে আলোচনায় আসেন কাউন্সিলর সাঈদ। ফকিরাপুলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাব থেকে নগদ ২০ লাখ ২৭ হাজার টাকা, জুয়ার সরঞ্জাম, ২০ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট, বিপুল পরিমাণ মদ ও মাদক জব্দ করা হয়।

অভিযান শেষে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেছিলেন, এই ক্লাবটি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. কাওসার এবং ওই এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক সাইদ পরিচালনা করেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।

ওই অভিযানে যখন ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতায় যুবলীগ, কৃষক লীগের নেতারা ধরা পড়ছিলেন তখন চিকিৎসার জন্য বিদেশে ছিলেন সাঈদ। এর কিছু দিন পর কাউন্সিলর পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার জায়গায় ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক দলীয় সমর্থন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।