আলোচিত সাঈদ পেলেন লাটিম, স্ত্রী ঠেলাগাড়ি

ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঢাকার ফকিরাপুল এলাকার কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ গা ঢাকা দিয়ে থেকেই এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2020, 03:07 PM
Updated : 10 Jan 2020, 03:12 PM

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাঈদের পাশাপাশি তার স্ত্রী ফারহানা আহম্মেদ বৈশাখীও কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন।

শুক্রবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দুইজনই প্রতীক নিয়েছেন। সাঈদ পেয়েছেন লাটিম প্রতীক, বৈশাখী পেয়েছেন ঠেলাগাড়ী।

এ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মোজাম্মেল হক ঘুড়ি প্রতীক, বিএনপি সমর্থিত মো. আনোয়ার হোসেন রেডিও, আসলাম আহমেদ ব্যাডমিন্টন ও শওকত আলী ভূঁইয়া পেয়েছেন টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক।

গত সেপ্টেম্বরে ঢাকার বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে আলোচনায় আসেন কাউন্সিলর সাঈদ। ফকিরাপুলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাব থেকে নগদ ২০ লাখ ২৭ হাজার টাকা, জুয়ার সরঞ্জাম, ২০ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট, বিপুল পরিমাণ মদ ও মাদক জব্দ করা হয়।

অভিযান শেষে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেছিলেন, এই ক্লাবটি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. কাওসার ও ওই এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক সাইদ পরিচালনা করেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।

ওই অভিযানে যখন ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতায় যুবলীগ, কৃষক লীগের নেতারা ধরা পড়ছিলেন, তখন চিকিৎসার জন্য বিদেশে ছিলেন কাউন্সিলর সাঈদ। এর কিছু দিন পর কাউন্সিলর পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার জায়গায় ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোজাম্মেল হককে মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন সাঈদ। পাশাপাশি তার স্ত্রী ফারহানা আহম্মেদ বৈশাখীর নামেও মনোনয়নপত্র দাখিল হয়।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় পার হয়েছে বৃহস্পতিবার। শুক্রবার বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের সময় রাশেদুল হক নামে একজন সাঈদের পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে প্রতীক বরাদ্দ নেন।

স্বামী-স্ত্রীর একই পদে প্রার্থী হওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে সাঈদপত্নী ফারহানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এলাকাবাসীর চাপে আমি নির্বাচন করছি। আমার স্বামীও মনোনয়নপত্র নিয়েছে। একই ওয়ার্ডে স্বামী-স্ত্রীর ভোট যুদ্ধ বলতে পারেন। কিন্তু তার বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। উনি ভোট করবে না, উনার প্রতীক কে নিয়েছে আমি সে খবরও রাখিনি।”

স্বামী সাঈদ কোথায় আছেন, তাও জানেন না বলে দাবি করেন ফারহানা আহম্মেদ বৈশাখী।

তিনি বলেন, “আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী। আশা করি, প্রচারেও কোনো বাধা পাব না; এলাকাবাসী আমাকে সাহস দিয়েছে।”

এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোজাম্মেল হক বলেন, “এখানে আমার সমর্থনে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আগের কমিশনার ও তার স্ত্রী স্বতন্ত্র করছে। এলাকার মানুষ আমার পক্ষে রয়েছে। ভোটে এর প্রমাণ দেব।”