আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তার হাতে আর পরনে যেসব দামি ঘড়ি আর পোশাক দেখা যায়, তার সবই কর্মীদের ‘ভালোবাসার উপহার’, নিজের কেনা নয়।
Published : 09 Jan 2020, 03:43 PM
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কাদের এ কথা বলেন।
সুইডেনভিত্তিক বাংলাভাষার অনলাইন পোর্টাল নেত্র নিউজে গত ডিসেম্বরে ওবায়দুল কাদেরের ঘড়ি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বাংলাদেশ থেকে ওই পোর্টাল দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে।
সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, “আমার যত ঘড়ি আছে একটাও আমার নিজের না, পয়সা দিয়ে কেনা না। ধরেন আপনি বিদেশে গেলেন এসে আমাকে একটা ঘড়ি দিলেন, আমি নিলাম।”
নেত্র নিউজের ওই প্রতিবেদনে ওবায়দুল কাদেরের হাতে থাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাতটি ঘড়ির ছবি দিয়ে দেখানো হয়েছে, সেটি কোন ব্র্যান্ডের এবং কোনটির দাম কত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিখ্যাত সব কোম্পানির ওই ঘড়িগুলোর বাজার মূল্য ৯ থেকে ২৮ লাখ টাকা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এটা একেবারে ফর গডস সেক, আমি বলছি এগুলো, আমার দামি পোশাক এগুলো আমার কেনা না। আমি পাই হয়ত আমাকে অনেকে ভালবাসে… আমার অনেক কর্মী আছে, তারা বিদেশে আছে, আসার সময় স্যুট নিয়ে আসে।
“গতকাল সিঙ্গাপুর থেকে একজন তিনটা কোটি ওখান থেকে বানিয়ে নিয়ে এসেছে, এ রকম এখন আপনি যদি নিয়ে আসেন, আমাকে উপহার দেন, আমি কি করব? এটা গিফট আইটেম!”
গত জাতীয় নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া হলফনামার সঙ্গে মিলিয়ে নেত্র নিউজ দেখানোর চেষ্টা করেছে, ওই সাতটি ঘড়ির মধ্যে একটির দামই সেতুমন্ত্রীর এক বছরের আয়ের প্রায় সমান। হলফনামায় ওইসব ঘড়ির কোনো উল্লেখও নেই।
এর মধ্যে অত্যন্ত দামি একটি ঘড়ি কোনো একটি ‘কন্ট্রাক্ট পাস’ করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি ‘উৎকোচ হিসেবে’ হিসেবে নিয়েছেন- এমন অভিযোগ পাওয়ার কথাও বলা হয়েছে নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে।
ওই অভিযোগ অস্বীকার করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এটা সড়কের সাথে কোন… আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব, কোনো কন্ট্রাকটরের থেকে… কোনো কন্ট্রাকটরকে বসতেও দিই না, আমার সাথে কোনো কন্ট্রাকটরের বৈঠক হয় না, যেটা হত অতীতে।
“আজকাল প্রমোশনের জন্য কোনো তদবির হয় না। কন্ট্রাকটররা ইলেকশনের আগে একটা অ্যামাউন্ট দিতে চেয়েছিল, সরাসরি না করেছি। আমারে ইলেকশনের টাকা প্রধানমন্ত্রী নিজেই দিয়েছেন, কারো থেকে টাকা নিতে হয়নি।”