মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান তাদের সাক্ষ্য নেন।
সাক্ষ্য দেওয়া অন্য দুজন হলেন- শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট কো-অপারেটিভ মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল আহসান এবং উৎস প্রকাশনীর মালিক মোস্তফা সেলিম।
ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জাগৃতি প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক আলাউদ্দিন তার জবানবন্দিতে বলেছেন তারা দীপনের রুমে গিয়ে তার দেহ উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন।”
এই তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরার পর আদালত এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেছেন।
গত ১ ডিসেম্বর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সেদিন মামলার বাদী ও দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান ও জব্দ তালিকার সাক্ষী আজিজ সুপার মার্কেট কো-অপারেটিভ মালিক সমিতির অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
একই দিন রাজধানীর লালমাটিয়ার সি ব্লকে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে হানা দেয় দুর্বৃত্ত দল। তারা প্রকাশক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুল, ব্লগার তারেক রহিম ও লেখক রণদীপম বসুকে কুপিয়ে আহত করে।
তার আগে ওই বছরই বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলা চলার সময় টিএসসিতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায়কে। জাগৃতি ও শুদ্ধস্বর দুই প্রকাশনা থেকেই বিজ্ঞান লেখক অভিজিতের বই প্রকাশিত হয়।
দীপন হত্যার ঘটনায় মামলার পর দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান গত বছরের ১৫ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম দীপন হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের নেতা সৈয়দ জিয়াউল হকের পরিকল্পনা এবং নির্দেশেই দীপনকে হত্যা করা হয়।
এই মামলার আসামিরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম, মো. আ. সবুর, খাইরুল ইসলাম, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল, মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. শেখ আব্দুল্লাহ, সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব। এর মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক।