ভূমি নিয়ে হাজার অভিযোগের অর্ধেকই নিষ্পত্তি হটলাইনে

চালু করার এক মাসের মধ্যেই ভূমিসেবা হটলাইনে হাজার অভিযোগ পেয়ে এর ৪৬ শতাংশের নিষ্পত্তি করার কথা জানালেন ভূমি সচিব মো. মাক্‌ছুদুর রহমান পাটওয়ারী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Nov 2019, 01:45 PM
Updated : 13 Nov 2019, 02:39 PM

বুধবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা বিষয়ক' একটি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

পাটওয়ারী বলেন,“গত অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ উদ্বোধনের পর থেকে গত এক মাসে ভূমিসেবা হটলাইন ১৬১২২ এ  প্রাপ্ত এক হাজার ২৯১টি অভিযোগের ৪৬ শতাংশ ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকিগুলোও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।”

ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা দিতে গত ১০ অক্টোবর ‘১৬১২২’ হটলাইন চালু করে ভূমি মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে এই হটলাইনে ফোন দিয়ে ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ জানানো এবং নানা সেবা পাচ্ছে মানুষ।

হটলাইন সেন্টার অফিস সময়ে চালু থাকবে। যে কোনো মোবাইল ও ল্যান্ড ফোন থেকে কল করা যাবে। হটলাইন সেন্টারে দেওয়া সব তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে বলেও সেবাটি চালুর সময় জানানো হয়।

এতে স্বচ্ছ, দক্ষ, আধুনিক, টেকসই এবং জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা যাবে বলে আশা করছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

এ হটলাইন থেকে ভূমি অধিগ্রহণ, নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর, খাস জমি বন্দোবস্ত, অর্পিত সম্পত্তি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, ভূমি জরিপ ও রেকর্ডরুম সংক্রান্ত সেবা পাওয়া যাবে।

এছাড়া জল মহাল, বালু মহাল, চা বাগান, হাট বাজার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সেবাও পাওয়া যাবে এখানে ফোন করে।

ভূমি সচিব বলেন, "কিছু দিনের মধ্যেই সংশোধিত নিয়োগ বিধি অনুযায়ী ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

“এছাড়া, আমরা ভূমি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ আরও জোরালো করার উদ্দেশ্যে প্রতিটি বিভাগে আঞ্চলিক ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের পদক্ষেপ নিয়েছি।"

ভূমি সচিব কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ের অফিস পরিদর্শন ও পরবর্তীতে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ, গণ-শুনানি করা, স্বচ্ছতার সাথে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান এবং সঠিক ভাবে ভূমি রাজস্ব আহরণে আরও ভালোভাবে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান উম্মুল হাছনা বলেন, “দেশব্যাপী ই-নামজারি ব্যবস্থা স্থাপনের পরে আমরা এখন ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ব্যবস্থা ডিজিটাইজ করার কাজ করছি। পর্যায়ক্রমে আমরা অন্যান্য ভূমি সেবাও ডিজিটাইজেশনের আওতায় আনার কাজ করব।" 

ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব), উপ ভূমি সংস্কার কমিশনার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাবৃন্দ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় ভূমি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করা হয় এবং এরপর অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মতামত তুলে করেন।

কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তসলীমুল ইসলাম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবর রহমান, মো. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, মো. আবদুল হক, আনিস মাহমুদ।