দুদকের করা এক আবেদনের ওপর শুনানি করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ সোমবার ওই জামিন আদেশ ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করে দেয়।
এই এক সপ্তাহের মধ্যে দুদককে ওই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
আপিল বিভাগে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ৪ নভেম্বর লতিফ সিদ্দিকীকে ছয় মাসের জামিন দেয়। পাশাপাশি রুল জারি করে।
হাই কোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে গত ৭ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যায় দুদক।
সেদিন চেম্বার আদালত দুদকের আবেদনে কোনো আদেশ না দিয়ে আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে সোমবার শুনানির জন্য রাখে।
এর মধ্যে লতিফ সিদ্দিকী যেন মুক্তি না পায় সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলে চেম্বার আদালত।
সোমবার আপিল বিভাগে শুনানির পর দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত আমাদের বক্তব্য শুনে আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত উনার জামিন স্থগিত করেছেন। এই সময়ের মধ্যে হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুদককে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে।”
আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে লতিফ সিদ্দিকীকে আপাতত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে বলে জানান এ আইনজীবী।
টাঙ্গাইল-৪ আসনের সাবেক সাংসদ লতিফ সিদ্দিকী ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। ওই সময় তিনি দুর্নীতি করেছেন অভিযোগ করে ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর বগুড়ার আদমদীঘি থানায় এই মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।
সেখানে বলা হয়, মন্ত্রী থাকাকালে লতিফ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের অধীনে থাকা বগুড়ার আদমদীঘির রানীনগর ক্রয় কেন্দ্রের ২ দশমিক ৩৮ একর জমি দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বেগম জাহানারা রশিদ নামে এক নারীর কছে বিক্রির নির্দেশ দেন, তাতে সরকারের ৪০ লাখ ৬৯ হাজার ২১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়
মামলায় বেগম জাহানারা রশিদকেও আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে গতবছর ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
গত ২০ জুন লতিফ সিদ্দিকী এ মামলায় বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর তার আইনজীবীরা জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আসেন।