বুলবুল: মোংলা, পায়রা, চট্টগ্রামে বিপদ সংকেত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশ উপকূলের ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে যাওয়ায় মোংলা ও পায়রায় ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2019, 01:02 PM
Updated : 8 Nov 2019, 04:03 PM

পাশাপাশি কক্সবাজারে আগের মতই ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় এ ঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

ওই সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আয়েশা খাতুন বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে শনিবার সকাল থেকেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে।”

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে আবহওয়া অধিদপ্তর বিপদ সংকেত জারি করার পর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বিকালে সচিবালয়ে এক প্রস্তুতি সভা শেষে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি তারা নিয়েছেন।

উপকূলীয় সাত জেলাকে ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি মাইকিং করে নিচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হচ্ছে।

লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ৫৬ হাজার স্বেচ্ছারসবীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ২০০০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার।

আরও খবর