পাশাপাশি সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলেছে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশ উপকূলের ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে যাওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মোংলা ও পায়রায় ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হয়।
পাশাপাশি কক্সবাজারে আগের মতই ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় বন্দর জেটিতে মোট ১৮টি জাহাজ ছিল। আর বহির্নোঙ্গরে ছিল ১৪৯টি জাহাজ। এর মধ্যে ৫৩টি জাহাজ জেটিতে আসার অপেক্ষায় ছিল।
“পণ্য ওঠানামাসহ বন্দরের সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। জেটিতে থাকা জাহাজগুলাকে সকালে বহির্নোঙ্গরে পাঠাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি লাইটার জাহাজগুলোকে কর্ণফুলী নদীর উজানে নিয়ে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হযেছে।”
চট্টগ্রাম বন্দরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটিও বাতিল করা হয়েছে বলে ওমর ফারুক জানিয়েছেন।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন জানান, এ বন্দরে ১৪টি বিদেশি জাহাজে মালামাল তোলা ও খালাসের কাজ চলছিল। বিপদ সংকেত পাওয়ার পর বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মহিউদ্দিন খান জানান, শনিবার ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজের কয়লা নিয়ে আসার কথা ছিল, তাদের আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ অধিকাংশ এলাকায় বিরাজ করছে মেঘলা আবহাওয়া,অনেক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ির বৃষ্টিও হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশান ও সিটি করপোরেশন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খূলে সার্বিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।