স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে ‘শরিক হতে চায়’ যুক্তরাষ্ট্র: ভূমিমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে শরিক হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2019, 03:19 PM
Updated : 11 Sept 2019, 03:19 PM

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বুধবার সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে এই আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মন্ত্রী।

মিলারের সঙ্গে বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে সাইফুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও এর ডিজিটালাইজেশনের অগ্রগতির এবং  অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রদূত।  

“তিনি আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। বাংলাদেশের যে ৫০ বছর, গোল্ডেন জুবলি, আমেরিকা লুকিং ফরওয়ার্ড এবং তারা বলছে যে ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের সাথে জয়েন্টলি প্রোগ্রাম করবে এবং খুব ভালো ভাবে শো-কেইস করতে চাচ্ছে...।”

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “আমার খুব পছন্দ হয়েছে জিনিসটা; তারা আসলে দেখাতে চাচ্ছে যে আমেরিকা আমাদের পাশে স্ট্রংলি আছে।”

যুক্তরাষ্ট্র ঠিক কী চাইছে জানতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়েছিল।

দূতাবাসের একজন মুখপাত্র উত্তরে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এই উদযাপনে শরিক হতে চায়। তবে কীভাবে সেটা হবে সে বিষয়গুলো এখনও ঠিক হয়নি।”

আসছে ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের শত বছর পূর্ণ হবে। আর ঠিক পরের বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার ঠিক আগে আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর শুরু হয় প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

এর আগে ভারত সরকারও বাংলাদেশের এ দুই উদযাপনে অংশীদার হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত মে মাসে দিল্লি সফরে গেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, দুই দেশ যৌথভাবে এই উদযাপনের উদ্যোগ নিলে তা আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্ব পাবে। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতির ক্ষেত্রেও তা ভূমিকা রাখবে।