বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পাইলট নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এ সংস্থার ভারপ্রাপ্ত এমডি ক্যাপটেন ফারহাত হাসান জামিলসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।
Published : 29 Jul 2019, 12:35 PM
দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে তিন ঘণ্টা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান।
জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়া অপর দুইজন হলেন- বিমানের চিফ ফাইনানশিয়াল অফিসার বিনীত সুদ ও পরিচালক (প্লানিং) মাহবুব জাহান খান।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিমানের সাবেক নিয়োগ কমিটির সদস্য ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত এমডি ফারহাত জামিল সাংবাদিকদের বলেন, “বিমানে পাইলট নিয়োগে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।"
তাহলে দুদক কেন তলব করেছে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "দুদকে অন্য কেউ অভিযোগ করছে যার কারণে তলব করা হয়েছে। আমরা আমাদের বক্তব্য দিয়েছি। দুদক তদন্ত করছে দেখা যাক কি হয়।"
একই অভিযোগে সোমবার বিমানের চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ ও পরিচালক (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) মো. আশরাফুল আলমেরও জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে গত ২৪ জুলাই বিমানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল মুনীম মুসাদ্দিক আহমেদসহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক।
এছাড়া রোববার বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) পার্থ কুমার পণ্ডিত, পরিচালক (ইঞ্জিনিয়াং অ্যান্ড মেটারিয়েল ম্যানেজমেন্ট) সাজ্জাদুর রহিম, পরিচালক (কাস্টম সার্ভিস) মুমিনুল ইসলাম ও জিএম (প্রশাসন) বুশরা ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদকের কর্মকর্তারা বলছেন, বিমানের ওই কর্মকর্তারা ক্যাডেট পাইলট নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে’ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষেন বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির উৎস ‘চিহ্নিত’ করে তা বন্ধে গত মার্চে কিছু সুপারিশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন।
সেখানে বলা হয়, বিমানের জন্য উড়োজাহাজ কেনা, ইজারা নেওয়া ও নানা যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ‘ব্যাপক দুর্নীতি’ হয়ে থাকে। উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনাকাটায় ‘শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি’ হয়ে থাকে। বিমানের আয়ের বড় খাত কার্গো সার্ভিস হলেও এ খাতে ‘বড় ধরনের’ দুর্নীতি হয়।