কয়েক দিনের ব্যাপক বৃষ্টিতে বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ৪০ লাখের বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও রোগের ঝুঁকিতে পড়েছে।
Published : 19 Jul 2019, 05:39 PM
শুক্রবার ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কয়েকলাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আটকে পড়েছে। ৬৬ হাজারের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।
“খাদ্য ও পরিষ্কার পানির সংকটের সঙ্গে পানিবাহিত রোগ বাড়ার খবরও পাওয়া গেছে।”
আইএফআরসির বাংলাদেশ প্রধান আজমত উল্লাহ বলেন, এসব মানুষ মওসুমি বৃষ্টি, বন্যার প্রকোপ ও ভূমিধসের মধ্যে নাকাল হচ্ছে। বৃষ্টি কমলেও উজান থেকে নদীগুলোর উপচেপড়া প্রবাহে সামনের দিনগুলোতে বন্যার অবনতি ঘটাবে।
বিস্তৃর্ণ কৃষি অঞ্চলে বন্যায় খাদ্য শস্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, যাতে খাদ্য সংকটের হুমকিও তৈরি হয়েছে। এর ফলে শিশু, প্রসূতি মা, গর্ভবতী মা ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে শংকা প্রকাশ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আইএফআরসি বলছে, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের ৬৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে। তারা খাবার, সুপেয় পানি, পরিচ্ছনতা সরঞ্জাম এবং বন্যায় বা ভূমিধসে বাড়িঘর হারানো মানুষদের মধ্যে তাঁবু বিতরণ করছে।
বন্যাদুর্গতদের এর মধ্যেই আইএফআরসি ৪ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৯ সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা) ছাড় করেছে।
Severe #flooding in #Bangladesh puts 4 million ppl at risk of food insecurity & disease, 10,000s have lost their homes. #Bangladesh RedCrescent's top priority is to reach stranded communities w relief supplies incl food, water, hygiene kits and tarps https://t.co/1tZwFBCmDk pic.twitter.com/za4WYOWFDz
— IFRC Asia Pacific (@IFRCAsiaPacific) July 19, 2019