উপজেলা পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে এবার জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়াকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 16 Mar 2019, 11:59 PM
সেই সঙ্গে ডেপুটি স্পিকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কারণে গাইবান্ধার সাঘাঁটা ও ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন বন্ধ হলে আর্থিক ব্যয়ের দায় স্থানীয় এ সাংসদকে নিতে হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
সোমবার উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১১৬টি উপজেলা পরিষদে ভোট হবে।
নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক আশাদুল হক জানান, শনিবার গাইবান্ধা-৫ আসনের সাংসদ ফজলে রাব্বী মিয়া এবং কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলকে এলাকা ছাড়ার বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটের সময় নয়জন সাংসদকে এভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। উপায় না পেয়ে স্পিকারের শরণাপন্নও হয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
শনিবার ডেপুটি স্পিকারের কাছে ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, “আচরণবিধি লংঘন করে গাইবান্ধার সাঘাঁটা ও ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রকাশ্যে একজন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
“যেহেতু আপনি বিধিবহির্ভূতভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন, তাই আপনাকে গাইবান্ধা-৫ নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করার জন্য ইসি নির্দেশনা দিয়েছেন। আপনার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কারণে নির্বাচন বন্ধ হলে এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরিচালনার জন্যে ইসি তথা সরকারের যে আর্থিক ব্যয় হবে পরবর্তীতে তার দায় দায়িত্ব নিরূপণ করা হবে।”
এজন্য নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে ইসিকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।
রামু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লংঘন করে প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালায় অনতিবিলম্বে এলাকা ছাড়ার জন্য আলাদা চিঠি দেওয়া হয় সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলকে।
সোমবার যেসব উপজেলায় ভোট
রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও, রংপুর, গাইবান্ধা ও দিনাজপুর জেলার সব উপজেলা, রাজশাহী বিভাগের বগুড়া, নওগাঁ ও পাবনা জেলার সব উপজেলায় ভোট হবে সোমবার।
সিলেট বিভাগের সিলেট ও মৌলভীবাজারের সব উপজেলা এবং ফরিদপুর জেলার সব উপজেলায় এদিন ভোট হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের উত্তর চট্টগ্রামের সব উপজেলা (সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, রাউজান, মীরসরাই ও হাটহাজারী), রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার সব উপজেলা এবং নোয়াখালীর হাতিয়া ও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় এই ধাপে ভোট হবে।
এবার উপজেলার ভোট হচ্ছে পাঁচ ধাপে। এর মধ্যে প্রথম ধাপের ভোট শেষ হয়েছে ১০ মার্চ। নানা অনিয়মের কারণে সেদিন ২৮টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হয়; গ্রেপ্তার করা হয় অন্তত তিনজন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে। তারপরও প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণকে ‘মোটামুটি শান্তিপূর্ণ’ বলেছে নির্বাচন কমিশন।
দলীয় প্রতীকে এই প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলেও বিএনপিসহ বেশিরভাগ দলের বর্জনের কারণে প্রথম দফার ভোটে লড়াইয়ের আমেজ দেখা যায়নি। সেদিন ভোট পড়ে ৪৩ শতাংশ। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় প্রথমধাপে ২৮ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হন।
ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে, ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপের উপজেলাগুলোতে হবে ভোট। পঞ্চম ও শেষ ধাপের ভোট হবে ১৮ জুন।