পুরান ঢাকার চকবাজারের ভয়াবহ আগুনে একটি দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্রে দুই চিকিৎসকসহ ছয়জন মারা গেছেন।
Published : 21 Feb 2019, 11:46 AM
নিহতদের মধ্যে আল মদিনা মেডিকেল হল ও ডেন্টাল নামের ওই চিকিৎসা কেন্দ্রের মালিক কাওসার আহমেদও রয়েছেন।
ওই ফার্মেসিতে নিহত বাকি তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি ওই সময় চিকিৎসা নিতে সেখানে গিয়েছিলেন। বাকি দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
কাওসার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তার বন্ধু সুর্যসেন হলের ছাত্র শরীফুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কাওয়ার মাদ্রাসায় পড়তেন, কোরআনে হাফেজ ছিলেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
“সে মাঝে মধ্যে সূর্যসেন হলেও এসে থাকত। আবার বাসায়ও থাকত। ওষুধের দোকানটাও সেই চালাত। কাওসার বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। আবদুল্লাহ নামে একটি ছেলে এবং নুসাইবা নামে একটি মেয়ে আছে তার।”
বুধবার রাতে চকবাজারে প্রথম যে চারতলা ভবনে আগুন লাগে, তার উল্টোদিকের ভবনে কাওসারের আল মদিনা মেডিকেল ও ডেন্টালের। আগুন ওই ভবনেও ছড়িয়েছিল।
কাওসারের ভাই ইলিয়াস জানান, তাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা থানায়। তারা সপরিবারে পুরান ঢাকায় থাকতেন।
আগুনে কাওসারের মেডিকেল হলে অবস্থানকারী ছয়জন মারা গেছে বলে জানান ইলিয়াস।
তিনি বলেন, তাদের মধ্যে দুই চিকিৎসকের একজনের নাম ডা. ইমতিয়াজ ইমরোজ রাসু এবং অন্যজনের নাম ডা. আশরাফুল। তারা দুজনই বাংলাদেশ ডেন্টাল কলেজ থেকে সম্প্রতি পাস করে সেখানে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন।
সেখানে চিকিৎসা নিতে গিয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে সদ্য একাউন্টিংয়ে মাস্টার্স পাস করা কাজী এনামুল হক নিহত হন।
এনামুল হকের ভাই চকবাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কাজী ইউসুফ তার পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “গতকাল রাতেও সেখানে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিল সে।”
হাজী বাল্লু রোডের একটি মেসে থাকতেন এনামুল। তাদের বাড়ি পটুয়াখালীতে।
কাজী ইউসুফ বলেন, “রাতে খোঁজাখুজি করেছি, পাইনি। ভোরে চলে গিয়েছিলাম। সকালে এসে লাশ খুঁজে পেয়েছি।”
কাজী ইউসুফ জানান, তারা মরদেহ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। ময়নাতদন্ত হওয়ার পর মরদেহ পটুয়াখালীতে নিয়ে যাবেন।