শুক্রবার বনানী ক্লাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, সমস্যাগুলো সবারই জানা। এখন সমাধানে কাজ করতে হবে।
“রাজধানীতে জলজট, জনজট বেশি হয়ে গেছে। মশার উৎপাতও অনেক। এগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। পরিবেশ দূষণ রোধ করতে হবে। ঢাকার মাঠগুলো দখল হয়ে আছে। সেগুলো উদ্ধার করতে হবে। এজন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে। দশজন কথা বললে দশটা অপশন তৈরি হবে।”
বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচিত হলে নাগরিক সেবা মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে তিনি কাজ করতে চান।
“আমাদেরকে অটোমেশনে যেতে হবে। সিস্টেম ডেভেলপ করতে হবে। সেবা মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। যেন লোকজনকে রাস্তায় আসতে না হয়।”
ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন হলে রাস্তায় যানজট কমবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা জানি ফুটপাত কে দখল করেছে। ফুটপাত ছেড়ে দিতে হবে যেন মানুষ ব্যবহার করতে পারে। আমি নির্বাচিত হলে রাজধানীর প্রতিটা বাসে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা করব। করা হবে ডিজিটাল বাসস্ট্যান্ড।”
সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দোপাধ্যায় এ অনুষ্ঠানে আতিকুল ইসলামের প্রতি সমর্থন জানান।
আতিকুল ইসলামকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
তিনি বলেন, “মেয়র প্রার্থী হিসেবে এরকম একটা মানুষকে মনোনীত করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। আজকের যে আলোচনা অনুষ্ঠান, এটা সব ধরনের মানুষের মিলনমেলা। আতিকুল ইসলাম সবাইকে এক করতে পেরেছেন। আশা করব পরবর্তীতে যেন তিনি এটা ধরে রাখতে পারেন।”
এর আগে বিকেলে মিরপুর মাজার রোডের সিদ্ধান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে মত বিনিময় করেন আতিকুল ইসলাম। পরিবেশ বান্ধব, গতিময় ও নিরাপদ ঢাকা গড়তে সেখানে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
“ডিএসসিসি, ডিএমপিসহ সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতা আমার একান্ত কাম্য। সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়তে চাই।”
ঢাকা-১৪ আসনের সাংসদ আসলামুল হক, আগা খান মিন্টু, মোবাশ্বের চৌধুরী, রাজিয়া সুলতানা ইতিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুল হকের মৃত্যুতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ শূন্য হওয়ায় এ উপ নির্বাচনের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন।
এ সিটি করপোরেশনের মেয়াদ পূর্ণ হবে ২০২০ সালের মে মাসে। ওই সময় পর্যন্তই দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন নতুন মেয়র।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। আতিকের প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন জাতীয় পার্টির শাফিন আহমেদসহ চারজন।