এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে প্রচারে নামার পরদিন মঙ্গলবার নিজের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে এলেন বিজিএমইএর সাবেক এই সভাপতি।
ঢাকার লেইক শোর হোটেলে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতা, ক্রিকেট তারকা, শিল্পী-অভিনেতা, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের উপস্থিতিতে ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানে আতিক বলেন, “আমরা সবাই মিলে এই ইশতেহার তৈরি করেছি। আমরা আশা করছি, সবাই মিলে চেষ্টা করলে আমাদের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।”
উত্তর ঢাকার উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করার অঙ্গীকার রয়েছে আতিকের নির্বাচনী ইশতেহারে।
এতে বলা হয়েছে, “এজন্য ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ, অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যার সরাসরি পাঠানোর ব্যবস্থা ও সমাধান করা হবে।”
কিন্তু পরে কাজে নেমে তিনি স্বীকার করেছিলেন, এসবের অনেকগুলো বাস্তবায়নের এখতিয়ারই নেই মেয়রের, যা তিনি আগে জানতেন না।
সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতার মেলবন্ধন ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আতিক বলেন, “আমি জানি ইশতেহারের বিষয়গুলো বলা যতটা সহজ, বাস্তবায়ন করা ঠিক ততটাই কঠিন। কিন্তু আমি একনিষ্ঠ ও আত্মবিশ্বাসী, আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে আমার সাধ্যের সবটুকু ঢেলে দেব।”
ঢাকার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি হওয়া নানা সমস্যা উৎরানো নিজের জন্য একটি ‘কঠিন পরীক্ষা’ বলে মনে করছেন আতিক।
“আমার প্রধান লক্ষ্য ঢাকার বিকাশের সঙ্গে শহরটি যেন তার গৌরব না হারায় তা নিশ্চিত করা। ঢাকাকে সু-বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলা।”
ঢাকাকে ‘সু-বাসযোগ্য’ করে গড়ে তোলার প্রত্যয় ঘোষণা দেওয়া আতিকুল মেয়র নির্বাচিত হলে হাতে সময় পাবেন মাত্র এক বছর।
এ সময়ের মধ্যে ইশতেহারগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব কি না সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেয়াদকাল চিন্তা করে ইশতেহার করা হয়নি। এটা সুদূরপ্রসারী চিন্তা থেকে করা হয়েছে।
ঘোষিত ইশতেহারে এর আগের মেয়রের শুরু করা প্রকল্পগুলো শেষ করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও মশক নিধন, বিশুদ্ধ বাতাস ফিরিয়ে আনা, খেলাধূলা ও অন্যান্য গঠনমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য উন্মুক্ত পার্ক ও মাঠ তৈরি করা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বহুতল ও ভূগর্ভস্থ পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানে আতিকুল বলেন, যেসব সড়কে সম্ভব সেখানে যান্ত্রিক যানবাহনের পাশাপাশি সাইকেলের জন্য পৃথক লেন তৈরি করা হবে।