বুধবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
আসন্ন অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষ্যে মেলাপ্রাঙ্গণ ধূলাবালি মুক্ত রাখতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে পানি ছিটানোর মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
এ সময় মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন দাবি করেন, শহর পরিচ্ছন্ন ও ধুলাবালিমুক্ত রাখতে আগে থেকেই পানি ছিটানো কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
“এরপরও মহামান্য আদালতের নির্দেশনা মেনে আমরা বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমাদের ৫১ কিলোমিটার প্রধান সড়কে প্রতিদিন সকাল-বিকাল পানি ছিটানো হবে। ধুলাবালির দূষণ থেকে রাজধানীকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে খাদ্যে ভেজাল রোধের মতো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ব্যবস্থা করা হবে।”
শুষ্ক মৌসুমে বাসা-বাড়ি নিমার্ণসহ রাস্তা ঘাটে উন্নয়নমূলক কাজ বেশি হয়, সে কারণে আরও বেশি ধুলাবালি হয় উল্লেখ করে এ বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মেয়র।
“যারা যেখানে কাজ করছেন নিজ উদ্যোগে সেসব স্থানে সকাল-বিকেল পানি ছিটিয়ে ধুলাবালি মুক্ত রাখবেন। আপনার একটু সচেতন হলে আমরা একটি পরিচ্ছন্ন ধুলাবালিমুক্ত শহর আপনাদের উপহার দিতে পারি।”
অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর জাহিদ হোসেন, সচিব শাহাবুদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আদালত বলেছে, রাজধানীর যেসব জায়গায় উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ চলছে, সেসব জায়গা আগামী ১৫দিনের মধ্যে এমনভাবে ঘিরে ফেলতে হবে, যাতে শুকনো মৌসুমে ধুলা ছড়িয়ে বায়ুদূষণ বাড়তে না পারে।
পাশাপাশি ‘ধুলোবালি প্রবণ’ এলাকাগুলোতে দিনে দুই বার পানি ছিটাতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে হাই কোর্ট।