শুক্রবার এক বিবৃতিতে সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটি।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনে সহিংসতা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশ প্রায় একশ ব্যক্তিকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে।
অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপ পরিচালক ওমর ওয়ারিশ বলেন, “বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের অবশ্যই এই দমন-পীড়ন বন্ধ করতে হবে, মুক্তি দিতে হবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের।”
সরকারের পদক্ষেপ যেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মনে এই ভয় না জাগায় যেন পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তার হতে হবে, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখার উপরও জোর দিয়েছে অ্যামনেস্টি।
তথ্য প্রযুক্তি আইনে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, ক্যাফে মালিক ফারিয়া মাহজাবিনকে গ্রেপ্তারের নিন্দাও জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি।
বিবৃতিতে তারা বলেছেন, “তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাকে যেখানে সরকার নিজেই ত্রুটিপূর্ণ বলে স্বীকার করে নিয়েছে, সেখানে এই ধারাটিরই আবার প্রয়োগ করতে দেখা যাচ্ছে।”