১০ দিন হেফাজতে রাখার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের এই শিক্ষার্থীকে বুধবার পুলিশ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে নিয়ে যায়।
আদালতে রাশেদের জামিন চেয়ে তার আইনজীবী জায়েদুর রহমান জাহিদ বলেন, “ঘটনার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র জড়িত না, সেটা উপাচার্য নিজেই বলেছেন। সুতরাং রাশেদকে জামিন দেওয়া যেতে পারে।”
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে রাশেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রাশেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর।
কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদকে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়েছিল বলে তার পরিবার অভিযোগ তুলেছে।
রাশেদকে গত ১ জুলাই এক ছাত্রলীগ নেতার করা তথ্য প্রযুক্তি আইনের এক মামলায় ঢাকার ভাসানটেক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে হামলার মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছিল গোয়েন্দা পুলিশ।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে গত ৮ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়েছিল।
ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা মামলায় আন্দোলনকারী আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।