বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত ‘সরকারি জমি দখল করে ৩ কোম্পানির কংক্রিট ব্যবসা’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনিক গ্রুপ।
Published : 16 Jul 2018, 05:22 PM
১৬ জুলাই ইউনিক গ্রুপের লিগ্যাল কোর্ডিনেটর (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) আয়েশা ফারিহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কার্যালয়ে এ প্রতিবাদলিপি পাঠান।
এতে বলা হয়েছে, “আপনার বহুল প্রচারিত অনলাইনভিত্তিক দৈনিক বিডিনিউজ২৪ডট.কম ‘সরকারি জমি দখল করে ৩ কোম্পানির কংক্রিট ব্যবসা’ শীর্ষক সংবাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
“উক্ত প্রতিবেদনে ৩টি কোম্পানির মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই কোম্পানি সম্পর্কে যাহা ছাপানো হয়েছে তাহা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, “আমাদের প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিন দীর্ঘ মেয়াদী লীজ নিয়ে বর্তমানে দখলে আছে এবং পার্শ্ববর্তী পানি মন্ত্রণালয়ের অধিগ্রহনকৃত কিছু জমি থাকায় বোরাক রেডিমিক্স কংক্রিট সেই জমি দীর্ঘ মেয়াদী লীজ হিসেবে গ্রহনের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিকট আবেদন করেছে। যাহা এখনও প্রক্রিয়াধীন আছে।”
প্রতিবেদকের বক্তব্য
নিজেদের জমি দখলে থাকায় সেটা উচ্ছেদের ঢাকা জেলা প্রশাসনে পাঠানো বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) চিঠির ভিত্তিতে উক্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
গত ১৩ মে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা পওর বিভাগ-২) দেওয়ান আইনুল হকের ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো ওই চিঠির একটি অনুলিপি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাতে রয়েছে।
ঢাকা জেলার খিলক্ষেত থানার মস্তুল মৌজায় ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে সে চিঠিতে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসেবে মস্তুল মৌজার ৩৩৮, ৩৩৯, ৩৪০, ৩৪১, ৩৪২, ৩৪৩, ৩৪৪ এবং ৩৫২ নম্বর দাগের চার একর জমি বোরাক রিয়েল এস্টেট ‘অবৈধভাবে’ দখল করে রেখেছে।
খিলক্ষেত থানার মস্তুলে সরেজমিন গিয়েও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওই জায়গায় বোরাক রেডিমিক্স কংক্রিটের নামে জমি ভরাটের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
উপরন্তু ইউনিক গ্রুপের প্রতিবাদলিপিতেও বোরাক রেডিমিক্স কংক্রিট পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করেনি- এমন কোনো দাবি করা হয়নি। সেখানে বলা হচ্ছে, ‘সেই জমি দীর্ঘ মেয়াদী লীজ হিসেবে গ্রহণের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিকট আবেদন করেছে’ যা এখনো প্রক্রিয়াধীন।
বোরাক রিয়েল এস্টেট ইউনিক গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। সে জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউনিক গ্রুপে ফোন করলে জুঁই নামে একজন অভ্যর্থনাকর্মী ফোন ধরেন।
অভিযোগের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও ওই অভ্যর্থনাকর্মী ইয়াহিয়া নামে একজনকে ফোন ধরিয়ে দেন।
ইয়াহিয়ার কাছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও মোবাইল নম্বর চাওয়া হলেও তিনিও কোনো ধরনের সহযোগিতা করেননি।
ইয়াহিয়া জানান, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রতিবেদকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। কিন্তু ইউনিক গ্রুপ থেকে প্রতিবেদকের সঙ্গে কেউ আর যোগাযোগ করেননি।