বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ ১০ মে

কয়েক দফা পেছানোর পর বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ১০ মে নতুন তারিখ ঠিক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির প্রধান শাহজাহান মাহমুদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2018, 04:56 AM
Updated : 7 May 2018, 09:56 AM

সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ইতোমধ্যে পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সেখানে সব ঠিকঠাকই আছে।

“আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং কোনো কারিগরি জটিলতা না ঘটলে আগামী ১০ মে বিকাল ৪টায় (যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ইস্টার্ন টাইমজোন) উৎক্ষেপণ হবে বলে স্পেসএক্স আমাদের জানিয়েছে।”

যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’ ফ্লোরিডার কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণে ব্যবহার করবে একটি ফ্যালকন-৯ ব্লক ফাইভ রকেট।

গত ৪ মে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে নতুন এই রকেটের স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট সম্পন্ন হয় বলে এক টুইটে জানিয়েছে স্পেসএক্স।

 

তিন হাজার ৫০০ কেজি ওজনের জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ফ্যালকন-৯ কক্ষপথের দিকে ছুটবে কেনেডি স্পেস সেন্টারের ঐতিহাসিক লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯-এ থেকে। এই লঞ্চ কমপ্লেক্স থেকেই ১৯৬৯ সালে চন্দ্রাভিযানে রওনা হয়েছিল অ্যাপোলো-১১।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় ফ্লোরিডার উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন বিটিআরসির প্রধান শাহজাহান মাহমুদ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ১০ তারিখ ধরে সব প্রস্তুতি নেওয়া হলেও এসব ক্ষেত্রে আবহাওয়া এবং কারিগরি বিষয়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। বহু ঘটনা আছে, যেখানে কাউন্ট ডাউনের একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়েও উৎক্ষেপণ স্থগিত করতে হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মিত হয়েছে ফ্রান্সের তালিস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে। নির্মাণ, পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও হস্তান্তর শেষে বিশেষ কার্গো বিমানে করে সেটি কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ সাইটে পাঠানো হয়।

তালেস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে নির্মাণ পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু-১

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য প্রথমে ১৬ ডিসেম্বর তারিখ ঠিক করা হলেও হারিকেন আরমায় ফ্লোরিডায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়।

এরপর ৪ মে উৎক্ষেপণের সম্ভাব্য তারিখ রাখা হয়। কিন্তু এপ্রিলের শেষে এক অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, উৎক্ষেপণ পিছিয়ে গেছে অন্তত ৭ মে পর্যন্ত।

আবহওয়া অনুকূলে না থাকায় সেই তারিখ আবার পিছিয়ে এখন ১০ মে সম্ভাব্য তারিখ রাখা হল।  

সরকারের আশা, বর্তমানে বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ যে ১৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়, এ উপগ্রহ উৎক্ষেপণের সেই অর্থ সাশ্রয় হবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।

পুরনো খবর