শনিবার গাজীপুরের জয়দেবপুরে গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণকাজ শেষ হবে।
“গ্রাউন্ড স্টেশনে এর মধ্যে ১০ টন ওজনের ২টি এন্টেনা স্থাপন করা হয়েছে এবং ভবন তৈরির কাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।
বিদ্যুতের জন্য জেনারেটর স্থাপন ও বিদ্যুৎ সরবরাহে ছয়টি বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান তারানা হালিম।
“ডিসেম্বরে উৎক্ষেপণের আগে নভেম্বর থেকে গ্রাউন্ড স্টেশনের পরীক্ষামূলক কাজ শুরু হবে।”
আগামী বছর এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনালের (এসপিআই) প্রতিনিধি শফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, গ্রাউন্ড স্টেশনে সিগনাল আদান-প্রদানে ১০ টন ওজনের দুটি এন্টেনা ইন্সটেলেশনের কাজ চলছে।”
বাজার মূল্যায়ন, বাজারজাতকরণ, বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ, গ্রাউন্ড স্টেশন ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাজ করছে এসপিআই।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের জন্য গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় দুটি স্থানে নির্মাণ কাজ চলছে।
প্রকল্প পরিচালক মো. মেজবাহুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জয়দেবপুরের গ্রাউন্ড স্টেশনটি মূল স্টেশন, বেতবুনিয়ায় স্টেশনটি ব্যাকআপ হিসেবে রাখা হবে। বেতবুনিয়ায় গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণকাজও একই গতিতে এগিয়ে চলছে।
সম্প্রতি পাঁচ হাজার কোটি টাকার অনুমোদিত মূলধন নিয়ে ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’ গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার।
২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণে ‘স্যাটেলাইট সিস্টেম’ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে বলে সরকার আশা করছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার (আইটিইউ) ‘রিকগনিশন অফ এক্সিলেন্স’ পুরস্কারও পেয়েছে।