গণমাধ্যমের ‘গলা টিপে ধরতে’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে অভিযোগ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
Published : 02 Feb 2018, 10:11 PM
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে মানববন্ধন থেকে এই আইন কার্যকর হলে সারা দেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ইমরান বলেন, “এই আইন শুধু কালাকানুন নয়, এটাকে কালাকানুন বললে কম হবে। এই আইন কার্যকর হলে দেশ মধ্যযুগীয় ধারায় চলে যাবে। সরকার ৩২ ধারার মাধ্যমে দেশকে মধ্যযুগীয় ধারায় নিয়ে যেতে চাইছে।
“কোনো সভ্য সমাজে এই আইন সম্ভব না। কোনো অপরাধীর অপরাধ নিয়ে লেখা যাবে না। এই খারাপ আইনের ব্যবহার ভালো হবে কীভাবে?”
তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় সাংবাদিক হয়রানি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্বের অভিযোগ উঠলে প্রতিবাদের মুখে ওই ধারাটি বাতিলের উদ্যোগের সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করছে সরকার।
সরকারি গোপন তথ্য-উপাত্ত ডিজিটাল উপায়ে ধারণ, স্থানান্তর বা সংরক্ষণ করা এবং তাতে সহায়তাকে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
ইমরান এইচ সরকার বলেন, “এটি করা হয়েছে গণমাধ্যমেরর গলা টিপে ধরার জন্য। অনুসন্ধানী কোনো রিপোর্ট যাতে লিখতে না পারে সেজন্য এই আইন দিয়ে গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা চলছে।
“অপরাধী দূর্নীতিবাজদের কোনো খবর যাতে প্রকাশিত না হয় তার জন্য ৩২ ধারা।”
এই আইন করা থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইমরান বলেন, “এই কালাকানুন বাতিল করতেই হবে। এই আইন বহাল রাখলে দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। সারা দেশের সচেতন মানুষদের নিয়ে আমরা আন্দোলন কর্মসূচির মাধমে প্রতিবাদ করব।
“কোনোভাবেই এই আইন সংসদে পাশ হতে দেওয়া হবে না। সরকারকে কন্ঠরোধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।”