যুদ্ধাপরাধ: সালামতসহ ১৭ জনের অভিযোগ গঠন পেছাল

এক আসামিকে আদালতে হাজির করতে না পারায় মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কক্সবাজারের মহেশখালীর সালামত উল্লাহ খানসহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ পিছিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2018, 08:26 AM
Updated : 22 Jan 2018, 08:26 AM

সোমবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের ট্রাইব্যুনাল ২৬ ফেব্রুয়ারি ফের আদেশের জন্য রাখে।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত; আসামিদের পক্ষে আব্দুস সোবহান তরফদার ও আব্দুস সাত্তার পলোয়ান।

পরে রানা দাসগুপ্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ মামলাটি আজ অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য ছিল। কিন্তু গ্রেপ্তার ৫ আসামির মধ্যে আসামি রশিদ মিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকায় সে আদেশ হয়নি।”

গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি ও পলাতক ১২ আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিয়োজিত আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পলোয়ান বলেন, রশিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে।

“যেহেতু তিনি শর্তসাপেক্ষে জামিনে আছেন, তাই আদালতের নির্ধারিত দিনে উপস্থিত হতে না পারলে তার জামিন বাতিল হয়ে যাবে। তাই তার পক্ষে হাজিরার জন্য দরখাস্ত দিয়েছিলাম। আদালত সেটি গ্রহণ করে ২৬ ফেব্রুয়ারি মামলাটি অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য রেখেছেন।”

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

এর আগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে ২২ জানুয়ারি আদেশের জন্য রাখা হয়েছিল।

এ মামলার ১৭ আসামির মধ্যে জামিনে থাকা বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ রশিদ মিয়াসহ গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি।

অন্য চারজন হলেন- কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও এলডিপি নেতা সালামত উল্লাহ খান, নূরুল ইসলাম, বাদশা মিয়া ও ওসমান গণি।

পলাতক ১২ আসামি হলেন- মৌলভী মোহাম্মাদ জাকারিয়া শিকদার (৭৮), অলি আহমদ (৫৮), মো. জালাল উদ্দিন (৬৩), মোহাম্মদ সাইফুল ওরফে সাবুল (৬৩), মমতাজ আহমদ (৬০), হাবিবুর রহমান (৭০), আমজাদ আলী (৭০), মৌলভী রমিজ হাসান (৭৩), আব্দুল শুক্কুর (৬৫), মো. জাকারিয়া (৫৮), মৌলভী জালাল (৭৫) ও আব্দুল আজিজ (৬৮)।

মামলার শুরুতে এ মামলায় আসামি ছিল ১৯ জন। জামিনে থাকা অবস্থায় এক আসামির ও কারাগারে থাকা অবস্থায় এক জনের মৃত্যু হলে তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, ধর্মান্তর ও দেশান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৩ ঘটনায় ১২টি অভিযোগ এনেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর মধ্যে ৯৪ জনকে হত্যাসহ নারী নির্যাতন এবং লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অনেক ঘটনা রয়েছে।

২০১৪ সালের ১২ মে থেকে ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই মামলার তদন্ত চলে। এই মামলায় মোট একশ ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।