তিনি বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে হাসতে হাসতে বলেন, “এখন তো আমি দেখছি যে উনি অসুস্থ হয়ে আমাকে বিপদে ফেলেছেন।”
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বাতিলের রায় নিয়ে সমালোচনার মুখে থাকা প্রধান বিচারপতি সিনহা অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার থেকে এক মাসের ছুটিতে যান।
ওই রায়ে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শেষে প্রধান বিচারপতির অপসারণ দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিল। তার আগে আদালত খোলার দিন থেকে ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি।
বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা দাবি করেছেন, সরকার ‘চাপ দিয়ে’ প্রধান বিচারপতিকে ছুটিতে যেতে বাধ্য করেছে।
তবে তা প্রত্যাখ্যান করে আইনমন্ত্রী বলে আসছেন, ওই রায়ের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির ছুটিতে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল হক এক মাসের ছুটি চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো প্রধান বিচারপতির আবেদনটি প্রকাশ করে দেন।
ওই চিঠিতে বিচারপতি সিনহা বলেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে এর আগে তিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং গত বেশ কিছুদিন ধরেও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। বিশ্রামের জন্য ৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন তিনি ছুটি কাটাতে চান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে আনিসুল বলেন, প্রধান বিচারপতি তার বাড়িতেই আছেন। চিকিৎসকরা বাড়িতে গিয়ে তাকে দেখে আসছেন।
কেন তিনি হাসপাতালে ভর্তি হননি- এই প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, “এটা তো আমি বলতে পারব না, এটা উনার বলার বিষয়।”
বিএনপি প্রধান বিচারপতির অসুস্থতা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছে- তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখের, পৃথিবীর সব জায়গায় অসুস্থতাটা মানুষের একটা ব্যক্তিগত ব্যাপার এবং এই ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে কথোপকথন প্রাইভেসিকে ইনফ্লুয়েন্স করা হয়।
“এর পরেও তারা যখন এই বক্তব্য রেখেছেন, আমি বলতে চাই, তিনি অসুস্থ এটা নিয়ে রাজনীতির কিছু নাই।”
“একজন অসুস্থ হয়েছেন, আসুন আমরা সকলে মিলে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সুস্থতার জন্য দোয়া করি। আমি বিএনপি নেতৃবৃন্দকে বলব, আসেন দোয়া করি উনি যেন সুস্থ হয়ে যায়,” বলেন আনিসুল হক।