‘জরুরি সেবা ৯৯৯’ যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে

উন্নত দেশগুলোর মত নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক সেবা দিতে এক বছর আগে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা জাতীয় ন্যাশনাল হেল্পডেস্ক ৯৯৯ এর দায়িত্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে যাচ্ছে।

শামীম আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 August 2017, 11:48 AM
Updated : 14 August 2017, 11:52 AM

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়োজেদ জয় সম্প্রতি এক মত বিনিময়ে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন।

গতবছর ১ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে জরুরি সেবার হটলাইন ৯৯৯ চালু করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ওই নম্বরে ফোন করেছেন প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ। জরুরি সেবার কলগুলোর মধ্যে ৬৪ দশমিক ৮ শতাংশ কল ছিল পুলিশি সাহায্য চেয়ে।

‘জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল হেল্প ডেস্ক বাস্তবায়ন কর্মসূচি’র অধীনে চালু হওয়া জরুরি সেবা-৯৯৯ এ ফোন করে বাংলাদেশের নাগরিকরা যে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সের মত জরুরি সেবা পেতে পারেন।

প্রতিমন্ত্রী পলক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পরীক্ষামূলক পর্যায় শেষ হওয়ার পর এখন এ সেবা সম্প্রসারণ এবং ১৬ কোটি মানুষের ব্যবহার উপযোগী করার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পরীক্ষামূলকভাবে এ সেবা চালুর পাশাপাশি গবেষণাও শুরু হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, সেই তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশের জন্য ‘জরুরি সেবা ৯৯৯’ কেমন হওয়া উচিৎ, তার একটি মডেল চূড়ান্ত করে জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এরপর তা প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছে উপস্থাপন করা হয়।

“আরও কার্যকর উপায়ে এই সেবা দিতে উপদেষ্টার নির্দেশেই এখন তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করি, এর মধ্য দিয়ে বৃহৎ পরিসরে ১৬ কোটি জনগণকে তাদের জরুরি প্রয়োজনে নিরবচ্ছিন্ন ও পূর্ণাঙ্গ সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।”

এ কর্মসূচির পরিচালক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব মনিরুল ইসলাম জানান, জনগণ কী ধরনের সেবা চায়, সেবা দেওয়ার পর্যায়গুলো কেমন হওয়া প্রয়োজন, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় ও সময় ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে, এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো কী এবং কীভাবে তার সমাধান সম্ভব, আইন ও প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পর্যবেক্ষণ নিয়ে তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে তাদের গবেষণায়।

কলসেন্টারের পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহার করে কীভবে জরুরি সেবার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া যায় তাও এ মডেলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।