Published : 11 Apr 2017, 03:31 PM
মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রাথমিকের বৃত্তির ফল ঘোষণার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে ফিজার বলেন, “ষষ্ঠ থেকে অষ্টমের পাঠদান, স্বীকৃতি দেওয়া, রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের চিঠি দিয়েছে, এই চিঠি দেওয়ার পরেও কিছু কাজ থাকে।
“রুলস অব বিজনেজ অনুযায়ী সরকারের… আমি চাইলেই আমি কোনো একটা উনাকে (শিক্ষামন্ত্রী) ছেড়ে দিতে পারব না, উনি চাইলেও পারবেন না। এটার জন্য ক্যাবিনেট পর্যন্ত কিছু কিছু কাজ আছে, সেই কাজগুলো উনারা করছেন।”
জাতীয় শিক্ষানীতিতে ২০১৮ সালের মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীতের লক্ষ্য নির্ধারিত আছে।
শিক্ষাবিদদের উপস্থিতিতে গতবছর ১৮ মে শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সভায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং গণশিক্ষামন্ত্রী ফিজার প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করে তা গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্তের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেন।
এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ার কথা জানিয়ে ২১ জুন গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সাল থেকেই পঞ্চম শ্রেণিতে আর সমাপনী পরীক্ষা হবে না।
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও গত ২৭ জুন মন্ত্রিসভা তাতে সায় না দিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত দেয়।
প্রাথমিক স্তর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীতে ‘গ্রাউন্ডওয়ার্ক’ করছেন জানিয়ে গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এনসিটিবিতে আমাদের রোলটা কী হবে? এখন রোলটা কী আছে? সমস্ত কিছু ঢেলে সাজাবার জন্য আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নে ফিজার বলেন, “শিক্ষানীতি সরকার করেছে। সেই শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে অনেক সময় লাগে। সেই সময়টাই আমরা নিচ্ছি।
“এটাতে আমাদের কিছু কাজ আছে, যারা ছেড়ে দেবেন তাদের কিছু কাজ আছে।… ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারটা উনারা শুধু বলে দিয়েছেন আরকি, এখন এটা প্রক্রিয়া করছেন, আমরা পুরাপুরি পাইনি।”
ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ছয় শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি খুলেছে সরকার। কিছু কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণি খুলেও শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
সে প্রসঙ্গ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত হচ্ছে। প্রত্যেক কাজের শুরু থাকলে তার শেষ আছে।… আমাদেরকে বলা হয়েছে আপনারা প্রস্তুতিগুলো নেন।”
২০১৮ সালের মধ্যে প্রাথমিক স্তর অষ্টমে উন্নীত হবে কি না- এমন প্রশ্নে ফিজার বলেন, “মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী সমস্ত সময়ে এগিয়ে যায় না সব কিছু। প্রত্যাশা আমাদের অনেক বড়, সেই জায়গায় পৌঁছাতে গেলে অনেক সময় লাগবে। চেষ্টাটা আছে, প্রতিদিন চেষ্টা করছি কীভাবে লক্ষ্যে পৌঁছে যাব।”
প্রাথমিকের পাঠ্যবইয়ের ভুল সংশোধনে এনটিসিবি মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠালেও কেন তা অনুমোদন দেওয়া হয়নি- এমন প্রশ্নে ফিজার বলেন, ভুলভ্রান্তি থেকে রেরিয়ে আসার জন্য কাজ চলছে।
কবে নাগাদ সংশোধনী দেওয়া হবে- সেই প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, “সবকিছুর কি দিন-তারিখ দেওয়া যাবে? আমরা নিশ্চয়ই ভুলটা পড়াচ্ছি না।
“প্রত্যেক জায়গার এটার জন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে, যেখানে যে জায়গায় আপনারা ভুলটা ধরেছেন সেটা নিশ্চয় দুশো বা পাঁচশ নয়, যেটুকু ভুল আছে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব বই তো পরিবর্তন করা এখনই দরকার নেই। যেটুকু যেটুকু জায়গার সংশোধিতরূপে পড়ানো দরকার সেটা করা হচ্ছে।”