মাঘ মাসের মাঝামাঝিতে পাওয়া যাচ্ছে না শীতের তীব্রতা; তবে বিদায়ের আগে আরেক দফা শৈত্য প্রবাহের পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
Published : 29 Jan 2017, 10:49 PM
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “মধ্য ফেব্রুয়ারিতে বিদায় নেবে শীত। এর আগে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে থাকবে।”
শনিবার রাতের তাপমাত্রা উত্তরাঞ্চলে ১ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমেছে; চলতি সপ্তাহেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস। এরপর তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
ডিসেম্বরের শুরুতে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, পৌষের শেষভাগে এসে ৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফা এবং ১২ জানুয়ারি তৃতীয় দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়।
সাম্প্রতিক কয়েক বছরের মধ্যে এবার শীতের শীব্রতা কম ছিল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে সাগরে দুটি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শীত আসেও দেরিতে।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, “শীতের এমন আবহাওয়া কিছুটা ব্যতিক্রমও বটে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কম শীত হয়েছে। সাধারণত শহরের তুলনায় গ্রামেই শীত বেশি থাকে। কিন্তু মৌসুমের সন্ধিক্ষণে বাতাসের বেগ বেশি থাকলে শীতের তীব্রতাও বাড়তে পারে।”
ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে বলে জানান তিনি।
রোববার বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ্বে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের উপর দিয়ে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ (সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে। দ্বিতীয়ার্ধে উত্তর, উত্তর-পশ্চিামঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে দুয়েকদিন বজ্র ঝড় হতে পারে।
রোববার বৃষ্টিপাত হয়েছে কয়েকটি স্থানে। সাধারণত বৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের বিদায় ঘণ্টা বাজে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোণায় ৪ মিলিমিটার, রংপুরে ১ মিলিমিটার, বগুড়ায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে।
রংপুরের শাহজাদা আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সেখানে এখন শীতের হালকা আমেজ।
“হালকা বৃষ্টিতে ভোরে শীত থাকলেও দিনভর গরমের তেজ। এবার শীত মৌসুমে কয়েক দফা শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও তা স্বল্প সময়ের; অন্য বছরগুলোর তুলনায় তীব্রতা ছিল কম।”
নেত্রকোণার লাভলু পাল চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখানে এক পশলা বৃষ্টির পরও শীতের তীব্রতা নেই, কুয়াশাও কেটে গেছে। বসন্তের আগমন যেন প্রকৃতিতে।”
পঞ্জিকার খাতায় দুই সপ্তাহ পর আসছে বসন্ত। তবে এর আগেই গাছে গাছে পাতা ঝরার দিন শুরু হয়ে গেছে।