পঞ্জিকার পাতায় শরতের শেষ সময়; কিন্তু আবহাওয়ায় এখনও বিরাজ করছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু, যার প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত হয়ে শরৎ পর্যন্ত স্থায়ী হল এবার বর্ষা।
Published : 11 Oct 2016, 10:30 PM
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, অক্টোবর মাসের প্রথমার্ধে শনিবারের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেবে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। এর ফলে দেশে শনিবারের পর এই মৌসুমে আর ভারি বৃষ্টিপাত হবে না ।
অক্টোবর মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসের বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, চলতি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে; এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
“এ মাসের প্রথমার্ধের মধ্যে বিদায় নেবে পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা),” বলেন তিনি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে বগুড়ায় ১৭৬ মিলিমিটার। এসময় চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহীতে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হয়েছে।
বুধবারও দেশের সব বিভাগের বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে অধিদপ্তর। এসময় কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি ধরনের বৃষ্টির আভাসও রয়েছে।
বুধবারও বৃষ্টির আভাস
শরতের শেষ সময়ে এসেও মৌসুমী বায়ু দেশের ওপর সক্রিয় থাকায় অনেক এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।
বুধবারও রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সব বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হওয়ায় সমুদ্রবন্দরেও তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে অস্থায়ী দমকাসহ হালকা বৃষ্টি হচ্ছে অনেক জায়গায়। বুধবার বেলা আড়াইটায় চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের সিরিজ নির্ধারণী ওয়ানডে ম্যাচ রয়েছে।
এ অবস্থায় সবার আগ্রহ চট্টগ্রামের আবহাওয়া নিয়ে।
জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন পর্যন্ত যে রকম আবহাওয়া ও চট্টগ্রামের খোঁজ খবর নিয়েছি- তাতে শঙ্কা কাটছে না।
“রাতে ও বুধবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে পারে। বিকালে পরিস্থিতি ভালোও হতে পারে। সর্বশেষ বুধবার সকালে আবহাওয়া দেখে পরবর্তী পূর্বাভাসও জানানো হবে।”
তবে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ভারি বৃষ্টি হলে বিকাল থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে আভাস দেন তিনি।
তিন নম্বর সতর্কতা
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা তৈরি হওয়ায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
“এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।”
সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলে পরামর্শ দিয়েছে অধিদপ্তর।