একমাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করা ভারতীয় বুনো হাতিটি উদ্ধারের কাজে অংশ নিতে এসেছে আসামের একটি বিশেষজ্ঞ দল।
Published : 03 Aug 2016, 05:36 PM
তিন সদস্যের দলটি বৃহস্পতিবার জামালপুরে হাতির অবস্থানস্থল পরিদর্শনে যাবে। এরপর বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে উদ্ধার কাজ শুরু করবে যৌথদল।
ভারতীয় দলে রয়েছেন আসামের হাতি বিশেষজ্ঞ ও বন কর্মকর্তা রিতেশ ভট্টচার্য, কৌশিক বাড়ই ও এ এস তালুকদার।
বুধবার বিকালে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অঞ্চলের উপ বন সংরক্ষক মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, “হাতিটি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আসাম বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বেলা ১২ টায় ঢাকা পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা আলোচনা করেছেন।”
সেখানে অবস্থান নেওয়া বন্যপ্রানী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক বলেন, “ভারতীয় প্রতিনিধি দলটি ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার ১১ টা-১২টার দিকে জামালপুরে আসবে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব আমরা।”
সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করে বৃহস্পতিবারই হাতিটিকে সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
তবে হাতিটিকে ভারতে কবে নেওয়া হবে কিংবা বাংলাদেশে রাখা হবে কিনা- সে বিষয়ে তারা কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানান অসীম।
তিনি বলেন, “আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হাতিটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নেওয়া। এরপর দেখব এতদিনে হাতিটির শারীরিক ক্ষতি হল কিনা বা রুগ্ন কিনা- তা দেখে চিকিৎসারও দরকার পড়তে পারে। সব বিষয়ে কাল আলোচনা করেই জানতে পারব আমরা।”
গত ২৬ জুন বুনো হাতিটি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার আন্তর্জাতিক মেইন পিলার নম্বর ১০৫২-এর কাছ দিয়ে বানের জলে ভেসে বাংলাদেশে আসে।
ভারতের আসাম রাজ্যের শিশুমারা পাহাড়ি এলাকা থেকে এই হাতি এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ চরাঞ্চল হয়ে এখন জামালপুরে আসে হাতিটি।