এনআইডি তথ্য যাচাইয়ে ৬ মাসে ২৫ কোটি টাকা আয়

এ পর্যন্ত ৫৮ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইং।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2016, 01:44 PM
Updated : 20 June 2016, 01:44 PM

নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাইয়ে এ পর্যন্ত ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগ।

এককালীন নিবন্ধন ফি এবং তথ্য যাচাইয়ে সার্ভিস চার্জ চালুর পর প্রথম ছয় মাসের বিল তৈরি হয়েছে। এতে দেখা যায়, শুধু ‘সার্ভিস ও ভ্যাট’ হিসেবে ২৪ কোটি টাকার বেশি আয় হয়েছে।

তবে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যথাসময়ে যেমন বিল পরিশোধে সাড়া মেলেনি, তেমনি কারিগরি ত্রুটির কারণে মোবাইল সংস্থাগুলোর কাছে বিলও পাঠাতে পারেনি এনআইডি উইং।

এ অবস্থায় বিল আদায়ে নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী।

এনআইডি উইংয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মূসা রোববার বলেন, “বর্তমানে আমাদের সঙ্গে ৫৮টি সংস্থা, প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাইয়ের চুক্তি হয়েছে। বিল পরিশোধে তাগাদা দিচ্ছি। চলতি মাসে অনেকে বিল জমাও দিয়েছে।”

তিনি জানান, ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের বিল পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি মোবাইল অপারেটরসহ অন্তত ১০টি সংস্থা থেকে ১৫ কোটি টাকার মতো বিল আদায় হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রায় ৬ লাখ টাকা, রাজস্ব বোর্ডের কাছে প্রায় ৪৭ লাখ টাকা ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কাছে ৩৩ লাখ টাকার বেশি পাওনা রয়েছে।

“অর্থ পরিশোধের বিষয়ে আমরাও তাগাদা দিচ্ছি। নতুন অর্থবছরে পরিশোধ করার বিষয়ে সরকারি সংস্থাগুলো অবহিত করেছে,” বলেন সৈয়দ মূসা।

প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সঙ্গে ২০১২ ও ২০১৩ সালে চুক্তি করে ইসি। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ফি নির্ধারণ করা হয়। এরপর নভেম্বর থেকে অন্যান্য সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইসির চুক্তি হয়।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আনোয়ার হোসেন গত ১৬ জুন ইসি সচিবের কাছে পাঠানো এক পত্রে জানান, ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছে এপ্রিল পর্যন্ত বিল পাঠানো হয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এখনও অনলাইন যোগাযোগ স্থাপিত না হওয়ায় এখন পর্যন্ত বিল করা যায়নি।

চিঠিতে বলা হয়, ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছে এ পর্যন্ত ভ্যাটসহ পাওনা রয়েছে ২৪ কোটি ৮০ লাখ ৩১ হাজার ৯৬৭ টাকা।

এনআইডি উইং জানায়, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই নির্দিষ্ট সময়ে বিল পরিশোধে গড়িমসি করছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে পাওনা পরিশোধের জন্য তাগিদপত্র দেওয়া হয় এবং ফোনেও যোগাযোগ করা হয়। ইসি থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা এ বিষয়টি অবগত নন কিংবা অনেকদিন আগে চুক্তি হওয়াতে ভুলে যাওয়ার ভাব করেছে। 

তথ্য যাচাইয়ে সব থেকে বেশি আয় এসেছে দেশের ছয়টি মোবাইল অপারেটর থেকে।

এনআইডি উইং পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, এনআইডির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারে চুক্তি অনুসারে স্বয়ংক্রিয় বিল তৈরি ও পাঠানোর জন্য সফটওয়্যার তৈরি না হওয়ায় আগে বিল পাঠানো যায়নি। আবার সফটওয়্যার তৈরির পরও কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকায় কয়েক সপ্তাহ বিলও পাঠাতে পারেনি তারা।

এনআইডি উইং-এর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মূসা জানান, চুক্তি স্বাক্ষরের পর এখনও কোনো বিল জমা দেয়নি এমন অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিষ্ঠানগুলো বিল পরিশোধ করবে।