বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান একেবারে নিম্ন পর্যায়ে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
Published : 31 May 2016, 12:00 AM
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রকৃতপক্ষে ভালো আইনজীবীর দরকার। ভালো আইনজীবী হতে হলে দরকার ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।”
প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এখন কিন্তু ভারতে বেস্ট স্টুন্ডেন্টরা ল’তে অ্যাডমিশন নেয়; আমেরিকা এবং জাপানেও হচ্ছে। আমাদের এখানে প্রকৃতপক্ষে যদিও একেবারে রিসেন্টলি ডেভেলপ করছে।
“ঢাকা ইউনিভার্সিটি ভালো ছেলে-মেয়ে বের করছে। রাজশাহী ইউনিভার্সিটি, চিটাগাং ইউনিভার্সিটিও করছে। কিন্তু যেসব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি আছে, সেগুলোর মান একেবারে নিম্ন পর্যায়ে।”
“এখন ডিজিটালাইজেশনের এই জামানায় ... ডিজিটাল ল’, সায়েন্টিফিক ল’- এগুলো কোনো ল’ কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে পড়ানো হয় না।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, “ভালো আইনজীবী হতে হলে ভালো ল’ কলেজ দরকার। দরকার ভালো সিলেবাস। ভালো শিক্ষা দরকার। ... যত ল’ কলেজ-ইউনিভার্সিটি আছে- এটার সিলেবাসগুলো আপনার ঠিক করে দেন।”
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে শামসুল হক চৌধুরীর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধান বিচারপতি।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় শক্তিশালী আইনজীবী সমিতির গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি সিনহা বলেন, “স্ট্রং বার না থাকলে ভালো বিচারকও হবে না। কারণ সুপ্রিম কোর্টের বেশিরভাগ বার থেকে বিচারক হয়।”
“এ দেশে যে মামলাগুলো আছে, সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে কি না? কারণ আমি যদি মামলাতে পড়ে যাই, আমার টাকাটা আটকে যাবে কি না?
শামসুল হক স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ড. কামাল হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, সুব্রত চৌধুরী, শ ম রেজাউল করিম, মনজিল মোরসেদ ও ব্যারিস্টার ওমর ফারুক আলোচনায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ বি এম বায়েজিদ।