ইউনিয়ন পরিষদের চতুর্থ ধাপের ভোটের সময় সংঘটিত অনিয়মের জড়িত থাকার অভিযোগে কুমিল্লার তিন উপজেলার তিনটি ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 09 May 2016, 03:20 PM
সেসঙ্গে অনিয়ম ঠেকাতে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় একটি ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করতে বলা হয়েছে।
এবিষয়ে নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সোমবার পাঠানো হয়েছে বলে নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শনিবারের ভোট নিয়ে যেসব অভিযোগ এসেছে তা পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইসি। কুমিল্লার তিন উপজেলায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের যুগিরহাট হোসেনিয়া হাফেজীয়া মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশের নায়েক আবু সাইদকে সাময়িক বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পুলিশের এই সদস্য (আইডি ৩৫৭) বান্দরবান জেলায় কর্মরত।
উপসচিব ফরহাদ বলেন, “দুষ্কৃতিকারীদের বাধা না দেওয়া ও রিটার্নিং অফিসারের কাজে সহযোগিতা না করায় ওই ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
যে চার নির্বাচনী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করতে বলা হয়েছে তাদের মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার মোবারক হোসেন ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার তাজুল ইসলাম এই কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন।
এই কেন্দ্রে ভোটের আগের রাতে ঢুকে জ্ঞাত ও অজ্ঞাত যেসব ব্যক্তিরা ব্যালটে সিল মেরেছে তাদের নামেও মামলা করতে বলেছে ইসি।
অপর দুই নির্বাচনী কর্মকর্তা হলেন- মনোহরগঞ্জ উপজেলার মৈশাতুয়া ইউনিয়নের আমতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার হাবিবুর রহমান ও চান্দিনা উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নের নোয়াকাঁও দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. হুমায়ুন কবির।
স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালার ৭০, ৭৭, ৭৯ ও ৮০ ধারা অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে বলে জানান ইসি কর্মকর্তা ফরহাদ।
এছাড়া বাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউপির চান্দলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ঢুকে সিল মারার ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ভোটের দিন আটক করা এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং ও সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারকে ছেড়ে দিতে কুমিল্লা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।