ইউপি নির্বাচনের প্রথম পর্বে ৭১২টি ইউনিয়নের যে যে স্থানে অনিয়ম হয়েছে, সেখানে মামলা হবে বলে ইসি জানিয়েছে।
Published : 23 Mar 2016, 07:35 PM
ভোটগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগের পর গণনাকালে সহিংসতায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যুর পরদিন বুধবার সাংবাদিকদের একথা বলেন ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার ভোটে অনিয়মের কারণে ১৩টি জেলার ৬৫ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করেছিল ইসি।
সাতক্ষীরায় পুলিশ সুপারকে তলব এবং ১১টি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের বরখাস্ত ও প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশনা ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, “শুধু সাতক্ষীরা জেলায় নয়, আমরা সবগুলোতে ব্যবস্থা নেব। যেখানেই এ রকম হবে, সেখানে এরকম মামলা হবে।”
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “পুলিশের ভূমিকা অনেক ভালো ছিল। তারা দমন করার চেষ্টা করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছেন।”
ভোটের দিনে ১১ প্রাণহানির দায় ও ব্যর্থতা কার- প্রশ্ন করলে সিরাজুল বলেন, “তিনটি ঘটনা ঘটেছে ভোটের পরে। ফলাফল ঘোষণার পর উচ্ছৃঙ্খল লোকজন কর্মকর্তাদের আক্রমণ করে, যখন জানমালের প্রশ্ন থাকে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বৈধভাবে কাজ করেছে।
“হতাহতের বিষয়টি তদন্তাধীন বিষয়। ওই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “প্রধম ধাপের সহিংসতার প্রভাব পরবর্তী ধাপেও পড়বে। তবে আমরা আরও সজাগ থাকব। এবং এর চেয়ে বেটার কিছু করব।”
আগামী ৩১ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে সাড়ে ছয়শ’ ইউপিতে এবং আরো চার ধাপে ভোট হবে।
তৃণমূলের এই নির্বাচনে নারী ভোটারের উপস্থিতি ‘বিস্ময়কর’ বলেও মন্তব্য করেন ইসি সচিব।
“নারী ভোটারদের উপস্থিতি উল্লেখ করার মতো। গ্রামের মা-বোনেরা যেভাবে ভোটগ্রহণে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন, এটা প্রশংসার দাবিদার, অনেক ক্ষেত্রে বিস্ময়কর।”